নিবন্ধন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হচ্ছে:

0
1272

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আন্তরিকতায় নিবন্ধন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হচ্ছে এবং বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর অথÑ মন্ত্রণালয়ও সম্মতি দিয়েছে এবং আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশনের সদস্যগণ অধিদপ্তরের কমÑকর্তা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারবেন।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার সাভারে বাংলাদশে লোক-প্রশাসন প্রশক্ষিণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) সাব-রেজিস্ট্রারদের বিশেষ বুনিয়াদি  প্রশিক্ষণ  কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। দুই মাস মেয়াদী এই প্রশিক্ষণে 30 জন সাব-রেজিস্ট্রার অংশ নেন।

তিনি বলেন, নাগরিক সুবিধা বাড়াতে নিবন্ধন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করার পাশাপাশি আমরা এর অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছি। এলক্ষে সরকার সকল জেলা ও উপজেলায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসভবন নির্মাণ করছে এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে 48টি জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ভবন এবং 233টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া গত এপ্রিল মাসেও 309 কোটি 32 লাখ টাকা ব্যয়ে ৪তলা বিশিষ্ট ১৪টি জেলা রেজিস্ট্রি অফিসভবন এবং ২ ও ৩ তলা বিশিষ্ট ৯৮টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।বতÑমানে এ প্রকল্পে পরিচালক নিয়োগের কাজ চলছে এবং চলতি অথÑ বছরেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হবে। তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আর কোন জেলা রেজিস্ট্রার  ও সাব-রেজিস্ট্রারকে ভাড়া বাসায় অফিস করতে হবে না।

আনিসুল হক বলেন, নিবন্ধন পরিদপ্তর ভারত উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন প্রতিষ্ঠান হলেও 2016 সালের পূর্বে এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিশেষ কোন ব্যবস্থা বাংলাদেশে ছিলনা।  তারই প্রেক্ষাপটে গত বছরের গোড়ার দিকে আমি নিবন্ধন পরিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এ উদ্যোগের ফলে 2016 সালে সকল জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রারকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে পর্যায়ক্রমে স্বল্প মেয়াদী বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং এর মাধ্যমে এই বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের দ্বার উন্মোচিত হয়। তাদেরকে আমি বলেছিলাম আগামীতে আপনাদের আরো  গুণোগতমান সম্পন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সে লক্ষ্যে বিপিএটিসিতে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। আমার বিশ্বাস, বিপিএটিসি তাদের গুণোগতমান সম্পন্ন প্রশিক্ষণ উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে এবং এর মাধ্যমে আমার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন ঘটেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমি নিবন্ধন পরিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আরো সুখবর দিতে চাই তা হলো-বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি উন্নত বিশ্বের ভূমি নিবন্ধন সংক্রান্ত Good Practices সমন্ধে সম্মুখ ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের বিদেশে পাঠানোরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে নিবন্ধন পরিদপ্তরের 17 জন কর্মকর্তাকে যুক্তরাজ্যে শিক্ষা সফরে গমনের জন্য ইতোমধ্যে সরকারি আদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং শ্রীলংকাতেও তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন থেকে স্থানীয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণও সমানতালে চলবে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তা বাস্তবায়নে সরকারের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও কর্মসূচি রয়েছে। প্রধান লক্ষ্য হলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে দুর্নীতিমুক্ত জ্ঞানভিত্তিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এর সঙ্গে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তির অবদান নিশ্চিত করা। এই সব লক্ষ্য অর্জনে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ই-গর্ভনেন্স, ই-কমার্স, ই-লার্নিং, ই-শিক্ষা, ই-স্বাস্থ্য, ই-সেবা চালুর কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পরিদপ্তরকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। নিবন্ধন পরিদপ্তরেও আমরা ই-সেবা চালু করতে চাই। সেজন্য আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আপনারা জনগণের সেবক। এদেশের মানুষের সেবা করার জন্যই আপনাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনগণকে সেবা প্রদানে কোন ধরণের শৈথিল্য কাম্য নয়। কারণ জনগণের অর্থেই আপনাদের বেতনসহ অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান করা হয়। সেজন্য আপনারা যে যেকর্মস্থলেই  কাজ করবেন, আপনাদের সামনে থাকবে শুধু বাংলাদেশ এবং এদেশের মানুষ। এজন্য আপনাদের দেশপ্রেম, ত্যাগ এবং সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

আনিসুল হক বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত তথা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণে আপনাদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ জন্য আপনাদের ঔপনিবেশিক প্রাচীন ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে জনগণের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। আপনারা জনগণকে সেবা দিতে কোন কার্পণ্য করবেন না এবং অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের ত্রুটিমুক্ত সেবা প্রদান করবেন। সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলোকে আপনাদের হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করবেন।নিবন্ধন পরিদপ্তর সম্পর্কে জনগণের যেন কোন দুঃখ, বেদনা বা নালিশ না থাকে তাও আপনারা নিশ্চিত করবেন।

বাংলাদশে লোক-প্রশাসন প্রশক্ষিণ কেন্দ্রেi †i±i W. Gg. Avmjvg Avj‡gi mfvcwZ‡Z¡ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ¯’vbxq msm` m`m¨ Wv. †gv. Gbvgyi ingvb, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো: জহিরুল হক, লেজিসলেwUভ  ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের  AwZwi³ সচিব bvmwib †eMg,  wbeÜb cwi`߇ii gnv-cwi`k©K Lvb †gv. Avãyj gvbœvb e³e¨ iv‡Lb|

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

17 + 19 =