যশোর ব্যুরো॥ জামাদ শিবিরের কন্যা দিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা নামে একটি মামলা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মোঃ ইদ্রিস আলী মোল্যাকে পুলিশ দ্বারা অর্থ দন্ড ও মানহানী মামলাটি মিথ্যা প্রমান হয়েছে । মামলার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গত ১৩/০৭/২০১৭ ইং তারিখে ইদ্রিস আলী, কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক সহ মানবাধিকার সংস্থা বরাবর আইনী সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন।হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটি জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা খুলনা বিভাগীয় কার্য্যালয় রূপদিয়া বাজার যশোর গত ১৩ জুলাই বিকেল ৩ ঘটিকার সময় অভিযোগ পাঠ করেন। নি¤œ অভিযোগ হুবাহু প্রকাশ করা হল:-
আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারী হইতেছি আইনের উপর শ্রদ্ধাশীল ও বিশ্বাসী, আমি মোঃ ইদ্রিস আলী মোল্লা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, পিতা- মৃত: মোঃ মনিরউদ্দীন মোল্লা, সাং- কচুয়া (পালপাড়া)। আমার প্রতিপক্ষ মোঃ নজরুল ইসলাম জামাতইসলামী সদস্য, পিতা- মৃত: আমির আলী, ২। মোঃ জুয়েল হোসেন, ছাত্রশিবীর, পিতা- মোঃ নজরুল ইসলাম, ৩। মোঃ শহর আলী, ৪। মোঃ জুম্মার আলী মোল্লা, জামাত কর্মী, উভয় পিতা- মৃত আমের আলী মোল্লা, মোছাঃ মাছুরা খাতুন, পিতা- মোঃ নজরুল ইসলাম, মোছাঃ শিরিনা বেগম, স্বামী- মোঃ নজরুল ইসলাম; উভয় গ্রাম- কচুয়া (পালপাড়া),থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর গত ১৯/০৩/২০১৭ ইং তারিখে আমার বড় ভাইয়ের ছেলে ফারুক হোসেনের ইঞ্জিন চালিত একটি আলম সাধু যাহার মূল্য ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা জুয়েল ও নজরুল চুরি করে নিয়ে যায় এই মর্মে ০৪/০৪/২০১৭ তারিখে বিজ্ঞ সিনি: জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সদর আমলী আদালত যশোরে একটি মকদ্দমা করে যাহার দন্ড বিধি ৪৪৭/৩৭৯ ধারা মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। পরে প্রতিপক্ষ বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাস ও জীবননাশের হুমকি প্রদান করেছে, পরসম্পদ লোভী সন্ত্রাসী শ্রেনীর লোক হইতেছে। গত ২৩/০৩/২০১৭ তারিখে তিনজনকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড এর আমলী আদালত. যশোর আদালতে ফৌ: কা: বি: আইনে ১০৭/১১৪/১১৭/ (সি) ধারায় একটি মামলা রুজু করে। বিবাদী পক্ষ আমার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাষায় গালীগালাস ও আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানীর শিকার করেছে। গত ১১/০৫/২০১৭ সাং-রায়মানিক কচুয়া খালকুল পাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর। বাদী হইয়া আমি মোঃ ইদ্রিস আলীসহ চারজনের নামে অভিযুক্ত করে আমাদের নামে একটি মিথ্য মামলা দায়ের করে উক্ত মামলার বিবারণ চার নম্বর বিবাদীর কথায় প্রতিবাদ করিলে সে ক্ষিপ্ত হইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে আমার গায়ে হাত দেয় ও চিৎকরিয়া ফেলিয়া ধর্ষন করার চেষ্টা করে। উক্ত মামলাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্তভার দেয় এস.আই হায়াৎ ও এস.আই সঞ্চয় মামলাটি তদন্তো করতে আসে। উভয় পক্ষর কথাবার্তা শুনিয়া এস.আই সঞ্চয় উক্ত ১৪/০৫/২০১৭ তারিখে ১৩ নম্বর কচুয়া ইউপি পরিষদে বিষয়টি উভয়ের পক্ষে মৌখিক হাজির হতে বলে যায় উক্ত তারিখে ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বর সহ দুই ইউনিয়নের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ হাজির হয়।উক্ত ১১/০৫/২০১৭ ইং তারিখে মাছুরা মামলাটি জিজ্ঞাসাবাদে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে প্রমান হয়, নজরুল ও তার পুত্র জুয়েল এর বিরুদ্ধে আলম সাধু চুরি মামলা করার কারনে মামলাটি সম্পূর্ন মিথ্যা এই মর্মে শালিসে কোতয়ালী মডেল থানা যশোর গণস্বাক্ষর দিয়ে মামলাটি মিথ্যা প্রমান করে। গত ২৭/০৫/২০১৭ তারিখে আনুমান ২.৩০ মিনিটে নজরুল গং পুলিশ দিয়ে আমি ভূমি দস্যু বলিয়া বাড়ির থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এস.আই আমিনুর ২৮/০৫/২০১৭ তারিখে বিকাল ৩.০০ ঘটিকার সময় আমাকে থানা হইতে পুলিশের দাবিকৃত টাকা দিয়ে আমাকে ছাড়িয়ে এনেছে। ০৬/০৪/২০১৭ তারিখে নজরুল গং আমার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় জামাতের অর্থদাতা হিসাবে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। উক্ত অভিযোদের ভিত্তিতে এস.আই সুবান শরিফ আমার বাড়িতে বারবার আমাকে ধরার জন্য অভিযান চালায়। তাদের চাহিদা মত টাকা দিয়ে আমি এই যাত্রা রেহায় পায়। আমার প্রতিপক্ষ মোঃ নজরুল গং তাহার স্ত্রী ও ক্যাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে ও পুলিশ দ্বারা অর্থ দন্ডি করে। মোট ১,৭৬,০০০/- (এক লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার) টাকা আমার অর্থ দন্ড হয় ও আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। আমার দুটি সন্তান এইচ এস সি পরিক্ষা দিয়েছে। উক্ত কারনের জন্য তাহারা লোক সমাজে অপমানিত হচ্ছে।
হোম বিভাগ খুলনা বিভাগ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ইদ্রিস আলীর উপর মিথ্যা মামলা হয়রানি, পুলিশ দ্বারা অর্থ...