চেয়ারম্যানের দখলে কোটি টাকা মুল্যের সরকারী খাল

0
1445

মোঃ আহসানউল্লাহ হাসানঃ
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের আর্শীবাদপুষ্ট ক্যাডার শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের ভোটারবিহীন চেয়ারম্যান হাজী নেছারউল্লাহ সুজন ও তার বুলডুজার বাহিনী কোলাপাড়া বাজার সংলগ্ম খালের অন্তত কয়েক কোটি টাকা মুল্যে সরকারী জমি দখল করে অবৈধ ভাবে বালু ভরাটের কাজ শুরু করে দিয়েছে। উপজেলা ভূমি অফিসের পিয়ন মঞ্জুরুল ইসমাম মঞ্জুর সহযোগিতায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নাকের ডগায় বসে প্রভাবশালী চেয়ারম্যান নেছারউল্লাহ সুজন তার দস্যু ক্যাডার অদুত,মাবুদ ও হারুন-অর-রশিদকে দিয়ে অবৈধ ভাবে খালের দখলকৃত জায়গায় বালু ভরাট শেষে পাকা স্থাপনা নির্মান করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কোটি কোটি টাকা মুল্যমানের সরকারী খালের জমি ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাচ্ছে, অপরদিকে ওই খাল দিয়ে পানি ঢুকতে না পারায় বিস্তৃর্ন ফসলি জমির ফসল উৎপাদন পানি অভাবে ব্যহত হচ্ছে। আবার পানি সরতে না পারায় কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখাগেছে, পদ্মা নদী সংযোগ এ খালটি দিয়ে কোলাপাড়া, কবুতর খোলা, হাতার পাড়া, রাঢ়ীখাল সহ আশপাশের ফসলি জমিতে পানি সরবরাহ হয়ে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে নিচু জমির পানি কোলাপাড়া বাজারের বৃহত্তম এ খাল দিয়ে নেমে যায়। বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও ট্রলারে করে পন্যদ্রব্য পরিবহন করা হয়। তাছাড়া  পদ্মার সংযোগ থাকায় এ খালের পানির সাথে পুকুর ও ডোবায় প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। কৃষি কাজে এখালের পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা-যায়, প্রায় ৯ শত একর জমিতে ফসল ও মৎস্য উৎপাদনে এখালটি প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার করে আসছে স্থানীয় জনগন। অথচ বিগত কয়েত মাস ধরে কোলাপাড়া বাজারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত জামানিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার দক্ষিন পাশে খালের অন্তত ৫ একর জায়গায় স্থানীয় চেয়ারম্যান হাজী নেছারউল্লাহ সুজনের নেতৃত্বে প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ভূমি দস্যু হাজী মাবুদ বাহিনী বালু ভরাটের কাজ শুরু করেছে। ফলে কালভাটের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া  ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নাকের ডগায় বসে কালভাটের মুখে খাল দখল করে ভূমিদস্যুদের বালু ভরাটের বিষয়ে কর্তপক্ষের কোন পদক্ষেপ না থাকায় স্থানীয় জনমনে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালে বালু ভরাট করে স্থাপনা নিমার্নের কাজ কর্তৃপক্ষ দেখও না দেখার ভান করে বসে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জন এলাকাবাসী জানায়, শুস্ক মৌসুমে পানির সংকট প্রকট ভাবে দেখা দেয়। সেচ কাজে কৃষকেরা সময় মত পানি পাচ্ছেনা। সেচের অভাবে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। বিকল্প ব্যবস্থায় কৃষকেরা আবাদী জমিতে পানি দেওয়ার চেস্টা করছে। বালুভরাট করে স্থাপনা নির্মানের ব্যপারে হাজী মাবুদ, হাজী অদুত ও হাজী হারুন-অর-রশিদ এর কাছে জানতে চাইলে তারা প্রত্যেকে বলেন, তারা তাদের ক্রয় করা স¤পত্তিতে বালু ভরাট করছেন। জানাগেছে, স্থানীয়রা খালে বালু ভরাটের দৃশ্য  ক্যামেরায় বন্ধি করার পর থেকে  ভূমিদস্যরা অধিক শ্রমিক নিয়োগ করে দ্রুতগতিতে ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নেছার উল্লাহ সুজন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা খাল ভরাট করছে তাদেরকে আমি চিনি না, এমন ঘটনা আমি শুনি নাই। উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ফায়েজুল ইসলাম এর কাছে জানতে চইলে তিনি বলেল, অল্প কয়েক দিন ধরে আমি এখানে চাকুরিতে যোগদান  করেছি। তাই, খাল দখল করে বালু ভরাট বিষয়ে আমার জানা-নেই। খালের বিভিন্ন স্থানে ভরাটকৃত বালু অপসারন করে জলাবদ্ধতা দুরীকরন সহ পন্যদ্রব্য পরিবহন ও নিচু জমির পানি নিস্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twelve − 2 =