সম্প্রতি জমি জমা/ভূ-সম্পত্তির মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার ধূর্ত অজ্ঞ দালালদের খপ্পরে পড়ে এক জমিকে ৭/৮ বার বিক্রি করার প্রবণতা দিনি দিন বেড়েই চলেছে। এমনকি মিথ্যা ও ভূয়া দলিলের মাধ্যমে সরকারি খাস জমিকেও অবলীলায় বিক্রি করে চলেছে। এভাবেই পাড়া/গ্রাম তথা সারা বাংলাদেশে জালিয়াতির মাধ্যমে জমি জমার জো” চুরি ও রমরমা ব্যবসা চলছে। এই ক্ষেত্রে রেজিষ্ট্রেশন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন কেউ মানছে না। সমাজ তথা দেশের মাথা ওয়ালা ও নব্য টাকাওয়ালারা কতিপয় ক্ষেত্রে নির্দায়ী নিষ্কন্টক ভূমি/জমি জমাকে কণ্টকাকীর্ণ ঝুকিপূর্ণ করে তুলেছে। তেমনিভাবে ভেজাল জমি কিনে জমানো টাকা হারিয়ে বংশানুক্রমিক সবাইকে মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে ফেলছে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার এমন কিছু ধূর্ত অসৎ দালাল রয়েছে যারা ভূয়া সিন্ডিকেট তৈরি করে নিম্নে বর্ণিত এমন কিছু জমি-জমা বিক্রি করেছে এবং রেজিষ্ট্রী করে নিয়েছে। রেজিষ্ট্রী টিকা তো দূরের কথা অনেকে আবার কারাগারের ঘানি টানতে হবে। তাই জমি কেনার আগে সাবধানতা অবলম্বন করাই খুবই জরুরী। বিক্রেতার জমিটি তার অন্যান্য শরীকদারের সঙ্গে অংশ নামা বা চূড়ান্তভাবে ডিগ্রী সম্পন্ন হয়েছে কিনা, অংশের দাবিদার তার চাইতে এক চুল পরিমাণ ও বেশি কেনা যাবে না। জমি বিক্রেতার মালিাকানা স্বত্ব তথা বিক্রেতার বৈধ অধিকার আছে কিনা থাকলে কতটুকু আছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এরপরই উল্লেখিত কাগজ পত্রগুলি একজন দক্ষ/অভিজ্ঞ ভাল সিভিল আইনজীবী কে দিয়ে জমির টাইটেল টেস্ট করাতে হবে। আইনজীবীর টাইটেল টেস্ট সর্বক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা পেলে তার পর রেজিষ্ট্রেশনের প্রশ্ন। রেজিষ্ট্রেশনের পূর্বে সরজমিনে জমির মালিকানা যাচাই করে নিতে হবে। সব কিছু স্পষ্টত: ও ঠিকঠাক পাওয়ার পর জমিতে কোন মামলা মোকদ্দমা আছে কিনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় লিগ্যাল নোটিশ দেয়া যেতে পারে। রেজিষ্ট্রেশন ও জমি ক্রয়-বিক্রয় দুটোতে বিশেষ আমলে নিয়ে সর্তকতার সাথে কাজ সম্পন্ন করতে হবে বা রেজিষ্ট্রী করতে হবে। কারণ এতে ক্রেতার সারা জীবনের সঞ্চয় জড়িত। এমন কিছু জমি জমা ক্রয়-বিক্রয় হালিশহর মুনিরনগর ৩৭নং ওয়ার্ডে সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিজ্ঞ জনেরা মনে করেন। ৩৭নং ওয়ার্ড এলাকার সরজমিনে ঘুরে কিছু অভিজ্ঞা ব্যক্তিদের কাছ থেকে বর্ণিত ঘটনার মিল খুজে পাওয়া যায়। আসার পথে প্রাক্তন কাস্টম অফিসার এজহারুল হক বিল্লাহ কুতুব আবাসিক এলাকায় তাদের অনেক জমি জিরাত রয়েছে পৈত্রিক সূত্রে স্থানীয় ফজর আলী মাতব্বর জামে মসজিদে ১০ শতাংশ জমি ওয়াক্ফ করেছে। এমনিক এজহারুল হক বিল্লাহ জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ আইন মানা হয়নি। যেমনটি আমাদের ভূ-সম্পত্তি কেনা বেচার ক্ষেত্রে পুরো অবজ্ঞা করা হয়েছে। বর্ণিত এলাকার ধূর্ত দালালদের নাম পরবর্তী সংখ্যা প্রকাশিত হবে (চোখ রাখুন)