উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে আলোচিত কলেজ ছাত্র হত্যা মামলার আসামীর পরিবাররা বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার ও প্রাননাশের হুমকী দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় সাধারন ডায়েরী। অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায় ২৭ আগষ্ট রবিবার সন্ধায় বাদীর বাড়ীর পূর্ব পাশে সুধির বিশ্বাষের চায়ের দোকানের সামনে প্রকাশ্যে বাদী অনিল চন্দ্র হালদার ও তা স্ত্রী সুপ্রবান হালদারকে স্থানীয় বখাটে সুসান্ত বাড়ৈ, জগদীশ মজুমদার, হিরালাল বিশ্বাষ মিলে মামলা তুলে নেয়ার হুমকী দেয়। এতে রাজী না হওয়ায় তাদেরকে প্রাননাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়। উলে¬খ্য উপজেলার জল¬া ইউনিয়নের বাহের ঘাট গ্রামের দিনমজুর অনিল চন্দ্র হালদারের ছেলে ধামুরা ডিগ্রি কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র সুজন হালদার(১৮) কে গত ১১ মে দুপুরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ধামুরা বন্দরের সামনে একই গ্রামের সারায়ন বিশ্বাষের বখাটে ছেলে নয়ন বিশ্বাষ ও তার নিকট আতœীয় সুসান্ত বাড়ৈ, জগদীস মজুমদার, হিরা লাল বিশ্বাষ মিলে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আহত সুজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনের অবস্থা বেগতিক দেখে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ মে রাত সড়ে ১০ টায় মারা জান। এব্যপারে পিতা অনিল চন্দ্র হালদার বাদী হয়ে নয়ন বিশ্বাষসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ নয়নকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। হত্যা মামলার পর থেকেই নয়নের নিকট আতœীয় উলে¬খ্য সন্ত্রাসীরা পলাতক ছিল। বর্তমানে ঐ সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকে রয়েছে। প্রভাবশালী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পেতে বাদীর পরিবার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
হোম বিভাগ বরিশাল বিভাগ উজিরপুরে কলেজ ছাত্র হত্যা মামলার আসামীর পক্ষরা বাদীকে প্রাননাশের হুমকী আতংকে পরিবার