”সর্বক্ষেত্রে বাঙ্গালীদের সাংবিধানিক অধিকার দিতে হবে”

0
456

পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্রপরিষদের পাকোয়াখালী ট্র্যাজেডি দিবসের মানববন্ধন ও শোক সভায়- ড.খন্দকার আলী আজম বাবলা। পার্বত্য চট্রগ্রামকে ঘিরে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের অপতৎপরতা রোধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট কবি,গভেষক ও সাংবাদিক ড.খন্দকার আলী আজম বাবলা বলেন,অধিকার আদায় করতে হলে গোটা দেশের মানুষকে নিয়ে সম্মিলিত ভাবে এক যোগে লড়াই করতে হবে।এ জন্যে ছাত্র ও যুবকদের সংগঠিত করতে হবে।মুক্তির জন্যে সাংস্কৃতিক উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।পার্বত্য চট্রগ্রামের বাঙ্গালী যুবকদেরকে সাংস্কৃতিক সংগঠনের পতাকা নিচে আনতে হবে।আগামী প্রজন্মের সুখ,শান্তি সমৃদ্ধি ও উন্নায়নের জন্য র্বতমান প্রজন্মের নেতৃবৃন্দকে কাজকরতে হবে। ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বারের শান্তি চুক্তি প্রসঙ্গে ড.আলী আজম বাবলা আরো বলেন,এ চুক্তির মাধ্যমে শান্তি নয় অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।সাম্য নয় বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে ,এক দেশে দুই নীতি তৈরী করা হয়েছে।পার্বত্য জেলা গুলোতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসার সবার অধিকার রয়েছে,কিন্তু শান্তি চুক্তির মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদটি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত করে বাঙালিদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।তিনি বলেন,চুক্তির আগে শান্তি বাহিনী নির্যাতন করতো এখনও তিন গ্রুপে নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। কমপক্ষে শুধু খাগড়াছড়িতে বছরে কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে।পার্বত্য চট্রগ্রামকে ঘিরে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপর হয়ে উঠেছে।তাই সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। প্রধান অতিথি ড.খন্দকার আলী আজম বাবলা -শেষে ”পার্বত্য জনপদ” নামে একটি বই এর মোড়ক ঊন্মোচন করেন।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্রপরিষদের যৌথ উদ্যোগে পাকোয়াখালী ট্র্যাজেডি দিবসের গণহত্যায় নিহতদের স্বরণে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিকেল ৩টায় মানববন্ধন ও সকাল ১১টায় বাংলাদেশ শিশু পরিষদ মিলনায়তনে এক শোক সভায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভ’ইয়ার সভাপতিত্বে এবং  পার্বত্য বাঙালি ছাত্রপরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ ফরাজি সাকিব এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো:কাউছার উল্লাহর যৌথ সঞ্চালনায় প্রধানবক্তা ছিলেন বান্দরবানের কৃতি সন্তান কর্নেল(অব:)এস এম আইয়ুব, মানববন্ধন ও শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,তৃনমূল বিএন পির মহাসচিব অধ্যাপক মো:শাজাহান সাজু,ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি মোস্তাক আহাম্মদ ভাসানী, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জি:আবদুল মজিদ।পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্মানিত উপদেষ্টা মো:শেখ আহাম্মদ রাজু, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ সহ সাংগঠনিক আবদুল হামিদ রানা,পার্বত্য নাগরিক পরিষদ  মহিলা সম্পাদিকা কবি ফাতেমা খাতুন রুনা। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের বান্দরবান জেলার সভাপতি মো: আতিকুর রহমান,ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো:সোলায়মান।পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ইসমাইল নবী শাওন ,পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের পেনেল সভাপতি মো:ইব্রাহিম মনির,পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি  মো:সারোয়ার জাহান খান, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের যুগ্নসম্পাদক ছাদেকুর রহমান,ওমর ফারুক সুজন,ইমরান আল হাসান, এনামুল হক,আলমগীর হোসেন,লোকমান হোসেন,জাহাঙ্গীর হোসেন,আসাদ উল্লাহ,ইয়াছিন আরাফাত,রবিউল,আলী হেসেন,সাখাওয়াত হোসেন সহ আরো অনেক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রেখেছেন। উল্লেখ্য যে ১৯৯৬ সালের ৯ই সেপ্টেম্বার রাঙ্গামাটির লংগদুর পাকোয়াখালীর গণহত্যায় ৩৫ জন বাঙালিকে হত্যা করেছিল।তাদের স্বরণে এবং বিচারের দাবীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
বক্তারা  মানববন্ধন ও শোক সভায় ১৯৯৬ সালের ৯ই সেপ্টেম্বার রাঙ্গামাটির লংগদুর পাকোয়াখালীর গণহত্যায় ৩৫ জন বাঙালিকে হত্যার দায়ে সন্তু লারমাকে সহ সকল হত্যা কারীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির,এবং শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দানের  দাবী জানান। মো:খলিলুর রহমান দপ্তর সম্পাদক,পার্বত্য নাগরিক পরিষদ,কেন্দ্রীয় দপ্তর

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × three =