ভূমি সংস্কার বোর্ডের ৪০ হাজার একর সম্পত্তি বেদখল কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ভূমিদস্যুদের সহযোগিতা করছে

0
576

স্টাফ রিপোর্টার    ভূমি সংস্কার বোর্ডের ভাওয়াল রাজ এস্টেট ও নওয়াব এস্টেটের প্রায় ৪০ হাজার একর জমি বেদখল হয়ে গেছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। ভূমি সংস্কার বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণে এসব সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ভূমিদস্যুরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সূত্র জানায়, ভূমি সংস্কার বোর্ডের ভাওয়াল রাজ এস্টেট ও নওয়াব এস্টেটের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় ভূমিদস্যুরা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছে। ভূমি সংস্কার বোর্ডের সহকারী ম্যানেজার মো. সাবি্বর হোসেন অবৈধ ও দুর্নীতির মাধ্যমে দখলদার লীজ গ্রহীতাদের প্লট ভূমিদস্যুদের হাতে তুলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ফলে প্লট গ্রহীতা দখলদারদের সাথে প্রতিনিয়ত ভূমিদস্যু চক্রটির সাথে বিরোধ লেগেই রয়েছে। ভূমি সংস্কার বোর্ডের সহকারী ম্যানেজার মো. সাবি্বর হোসেনের ইন্ধনে লীজ গ্রহিতা দখলদারদের উপর হামলা, লুটপাট, জবর-দখল ও অগি্নসংযোগ করে উচ্ছেদ করে দিচ্ছে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা।

সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় অধীনে ভূমি সংস্কার বোড ভাওয়াল রাজ এস্টেট ও নওয়াব এস্টেটের ৪৫ হাজার একর সম্পত্তি দেখভাল করে। ভূমি সংস্কার বোর্ডের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যুদের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা লীজ গ্রহীতাদের লীজ বাতিল করে ভূমিদস্যুদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে লীজ দিয়ে দিচ্ছে। এসব অবৈধ কাজে বিভিন্ন ভাবে ভূমিদস্যুদের সহযোগিতা করছে সাবি্বর হোসেন।

অপর একটি সূত্র জানায়, আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় শুধু সি-বস্নকে ১৯, ২০, ৪৭, ৫৭, ৮৩, ৯৩, ৮২, ৯২, ১৭৬, ১৮২, ১৪২, ১৪৩, ১৩৮, ১৩৯, ১৭, ১৮, ২৩ ও ২৪নং প্লটসহ অসংখ্য প্লট দখলদার ও লীজ গ্রহীতাদের দখল প্লট ভূমিদস্যুদের তুলে দিয়েছে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। এতে করে আউকপাড়ায় বৈধ লীজ গ্রহীতা দখলদারদের সাথে ভূমিদস্যুদের বিরোধ লেগেই আছে। এ ব্যাপারে সাভার ও আশুলিয়া থানায় অর্ধশতাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

সূত্র জানায়, লীজ পাইয়ে দেয়ার জন্য প্রতি একর ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা দিতে হয় ভূমি সংস্কার বোর্ডের সহকারী ম্যানেজার মো. সাবি্বর হোসেনকে। দাবীকৃত টাকা না দিলে বোর্ড মিটিংয়ে ফাইল ওঠেনা। এছাড়াও লীজ নবায়ন করতে হলেও তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়। এত টাকা কেন লাগে লীজ গ্রহীতারা সাবি্বর হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান চেয়ারম্যান আমার আত্মীয় এবং আমার এলাকার ভাই তাকে টাকা দিতে হয়। একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী আমার এলাকায় থাকে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন লাভ হবে না

 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eleven − six =