রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রৌমারীতে আমন ধানের চারা সংকটে চরম হতাশায় পড়েছেন কৃষক। বন্যার পানিতে রোপা আমন ও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। অনেক দেরীতে বানের পানি নেমে যাওয়্ায় রোপা আমন ও বীজ তলা সম্পুন্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে রোপ আমন বীজের চরম সংকট দেখা দেয়। সাধারণত এঅঞ্চলে আষাঢ় শ্রাবন মাসে আমন ধান রোপন করা হয়ে থাকে। আমন ধান রোপন শেষ হতে না হতেই অতিবৃষ্টি ও পাহাঢ়ী ঢলে গোটা এলাকার ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে আমন ধান রোপনের সময় শেষ হলেও খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার তাগিদে অসময়ে আমন ধান রোপনে ব্যাস্ত কৃষক। তবে বানের পানিতে বীজ তলা নষ্ট হলে অনেক কৃষক বর্ন্যা উপদ্রত এলাকার নমল জাতীয় গান্িজয়া জাতের ধানের চারা তৈয়ারী করে। বানের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে গানজিয়া ধান রোপনে ব্যাস্ত কৃষক। অনেকেই রোপন শেষে অতিরিক্ত চারা বাজারে বিক্রি করছে চড়া দামে। বর্তমান বাজারে ২০ গন্ডা চারার দাম ১২শ থেকে ১৪শ টাকা। তবে এঅঞ্চলের কৃষক নিজেরাই আপদ কালীন সময়ের জন্য গানজিল জাতের ধানবীজ সংরক্ষণ করে থাকে। এ জাতের ধান প্রতি কাটায় ১মন হয়ে থাকে। যার ভাত খুব সুসাধের। তবে আপদ কালীন সময়ের জন্য সরকারী ভাবে এধানের বীজ সংরক্ষণ করা দরকার। রৌমারী কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, প্রতিবছর রৌমারীতে ৯ থেকে সারে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়ে থাকে। বন্যার কারণে পিছিয়ে গেলেও রৌমারীর কৃষকরা রোপা আমন চাষ মোটামোটি কম হয়নি। প্রায় ৮/ থেকে সারে আট হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপন হয়েছে তারপরও কৃষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।