,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ওমান প্রবাসীর স্ত্রীর শিরিনার সাথে পরকীয়ায় হাতে-নাতে ধরা পড়ে ফরহাদ নামের এক লম্পট। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলাধীন পাটা-ধোয়াপাড়া গ্রামে। ৮ বছর আগে শিরিনা (১৮) পাটা-ধোয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী আব্দুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়।
শিরিনার সাথে সাক্ষাতকারে জানাযায়, কলাবাড়ী গ্রামের হাছেন আলীর পুত্র ফরহাদ হোসেন (১৯) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার পরকীয়া চলে আসছিল। গত সোমবার ২ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ফরহাদ শিরিনার বাড়িতে গেলে ওই গ্রামের সামছুল, আশরাফ আলীসহ অজ্ঞাতনামা অনেকেই ফরহাদকে আটক করে মারধর কর।
শিরিনা আতংকিত হয়ে তার ৭ মাসের কোলের শিশু রাকিবুল ও ৩ বছর বয়সের আয়শাকে নিয়ে বাড়ির পাশ্বের নদীতে জাপিয়ে পড়ে। নদীর প্রচন্ড ¯্রােতে তার হাত থেকে সন্তান দুটি ছুটে গেলে সে ভাসতে ভাসতে ১ কিলোমিটার দক্ষিনে কিনারে চাপে।
পরে শিরিনা রাত ১২ টায় দুবলা বাড়ী গ্রামের আব্দুর রহমান মাষ্টারের বাড়িতে আসে। পরদিন মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) শিরিনাকে রহমান মাষ্টার যাদুর চর ইউপি চেয়াম্যান শরবেশ আলীর নিকট জমা দেয়। পরে চেয়ারম্যান শিরিনাকে রৌমারী থানায় সোপর্দ করেন।
এ প্রসঙ্গে রৌমারী থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ ঘটনায় দুই শিশু সন্তানের মা শিরিনা ও তার বাবা মাকেও থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টির উপর পুলিশি জোড় তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানান। অপরদিকে এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত ঔ নারি তার দুই সন্তানের সত্য ঘটনাটি এখনও শিকার উক্তি দেয়নি। তবে গ্রাম এলাকার সাধারনদের ধারনা ঔ দুই শিশুকে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রেখেছে।