রৌমারী সরকারি প্রাথমিক সহকারি শিক্ষিকার কান্ড তৃতীয় শ্রেনীর শির্ক্ষাথীকে স্কেল নিক্ষেপ করে আহত ৩

0
559

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী‍ঃ
কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারীতে শিক্ষিকার কান্ড হাতের স্কেল নিক্ষেপ করেই তৃতীয় শ্রেনীর ৩ শির্ক্ষাথীকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর সেই ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না তৃতীয় শ্রেনীর আহত তিন শির্ক্ষাথী। ঘটনাটি ঘটেছে ০৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রৌমারী উপজেলাধীন যাদুরচর ইউনিয়নের চর পাহাড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঔ আহত সন্তানের মা আরিফা খাতুন জানান আমার ছেলে আরিফুল ইসলাম রিদয় মিয়াকে মাষ্টার হাতের স্কেল ছুড়ে মারে। এবং স্কেলটি ছেলের মাথায় আঘাত করে পাশে থাকা আরও দুইটি একই শ্রেনীর শির্ক্ষাথীর মাথায় লেগেই স্কেলটি মাটিতে পড়ে। এমন কার্যক্লাবের কঠিন বিচার চাই যদি মাথায় না লেগে চোখে লাগতো তাহলে আজ আমার ছেলে সারাজীবনের জন্য ঘরে পড়ে থাকত। পড়ে এই তৃতীয় শ্রেনীর শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় কাদঁতে কাদঁতে বাড়িতের গিয়ে তার বাবা মার কাছে জানায়। পড়ে বিষয়টি রৌমারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপজেলা কর্মকর্তা ফরহাদকে জানানো হলে বিষয়টি তিনি দেগবেন বলে জানান। এর পর ঔ ওর্য়াডের মেম্বর শেখ ফরিদ তাকে ডেকে সড়েজমিনে স্কেল নিক্ষেপের বিষয়টি দেখেন। দেখার পর চর পাহাড়তলী প্রাথমিক দ্যিালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরমহাম্মাদকে সাথে নিয়ে ওই আহত শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে এমন ঘটনার বিষয় মাফ চায়। তবে ওই ঘটনা কেন ঘটনো হচ্ছে সেবিষয়টি জানতে চাইলে আহত শিশুটির মা আরিফা জানায় রাশিদা মাষ্টারের ছোট ভাই ফরমান মেম্বারী নির্বাচন করে হেরে যায়। যাওয়ার পর থেকেই জারা ফরমানকে ভোট দেয়নি তাদের সন্তানদের উপর এমন নির্যাতন চালিয়েছে রাশিদা মাষ্টার। আরিফা খাতুন আরও জানান আপনারা আসছেন এই গ্রামে খোজ খবর নিয়ে দেখেন এমন অভিযোগ আরও অনেকেরই আছে। একই গ্রামের সাবেক মেম্বর আবুল হাসেম বলেন এই ধরনের অভিযোগ আমিও জানি এবং শুনেছি তারপর ওই রাশিদার আছোরনে কেউই সন্তষ্ট না। তার মানে জানতে চাইলে তিনিও ঔ নির্বাচনের সময় তার ভাই ফরমান ভোট পায়নি, এই জন্য জারা ভোট দেয়নি তাদের শিশু বাচ্ছার উপর প্রতিসুধ নিচ্ছেন। একই গ্রামের নুরুল ইসলাম সেও একই ভাবে বলেন আমরা ফরমানরে ভোট দেই নাই দেইহা আমগর পোলাপাইনরে দেগবার পায়না হে কি তার ভায়ের চাকরি করে যে হেই জন্য আমগর পোলাহানরে নির্যাতন করে এর বিচার চাই। তৃতীয় শ্রেনীর শির্ক্ষাথী রিদয় মিয়া বলে আমি কিছুই কইনা তাও আমার সাথে কেমন করে রাশিদা আপা আমারে কেই যদি মারে আমি আপার কাছে কই আর কয় ভালো ওইছে তগরে দেকবার পাইনা। এলাকাবাসীর দাবী একই বাড়ির দুই জন শিক্ষক একই স্কুলে থাকার কারনে স্কুলে পড়ালেখা ভালো হয়না। ৬ টি ক্লাসের মধ্যে সারাদিনে দুইটা ক্লাস নেয় কোনোদিন তিনটাও নেয় আবার স্কুল অফিসে গিয়ে ঘুমায় এমন অভিযোগ প্রায় অসংখ মানুষের রয়েছে। অএতব ঔ শিক্ষককে জুররী অন্যকোথাও বদলী করে দিলে ওই স্কুলে লেখাপড়ার মানউন্নয়ন ভালো হবে। কারন এইবাড়ির ২ জন শিক্ষক প্রধান শিক্ষক নুরমহাম্মাদ, একইবাড়ির মোছাঃ রাশিদা খাতুন এরা দুজন মিলে মুন যা চায় তাই করে এমনটা হলে স্কুলের পড়ালেখা কোনোদিনই ভালো হবেনা। সর্ব শেষ ওই শিক্ষিকাকে এলাকাবাসীর জোর দাবী বদলী করতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে নেয়ার জন্য অনুরুধ জানানো হইল। অপরদিকে রৌমারী প্রাথমিক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তার সঙ্গে কথা হলে সে বলেন ঘটনাটি সত্য সে যে অগ্রমেজাজী শিক্ষীকা তার প্রমান পাওয়া গেছে আমি উর্ধ্বতন কৃতিপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অন্যস্থানে বদলী করার চেষ্টা করছি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

six + nineteen =