নারায়ণগঞ্জ সিআইডি পুলিশের অন্যদাতা চাাঁদাবাজ মোফাজ্জলের খুটির জোর কোথায়?

0
944

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
পুলিশ প্রশাসন জনগণের বন্ধু। আসলে এ বিষয়টি যেন দিন দিন প্রতি পক্ষ হতে চলছে। তার বাস্তব চিত্র প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললে সাধারণ মানুষে চোখে ভেসে ভেড়ায়। পুলিশ বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্যগন বিবিন্ন সংস্থার হয়ে অপহরণ, ছিনতাই করছে, আবার কেহ ক্রশ ফায়ারের বয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার কেহ ব্লাকমেলিং করেছ, এ সকল বিষয়গুলি থেকে সাধারণ মানুষ যেন প্রশাসনকে ঘৃণার চোখে দেখছে। আবার সংবিধান খুলে দেখা যায় আইন সবার জন্য সমান, কিন্তু বাস্তব চিত্রে পুলিশ প্রশাসনের জন্য একটু বেতিক্রম দেখা যায়। আর তা হচেছ যে সকল পুলিশ সদস্য অপরাধ করে তাকে ক্লোজ করা হয়, আর বড়জোর অন্যত্র বদলি করা হয়।

এটাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়। যে সকল পুলিশ সদস্য অথনৈতিক ভাবে বেশী দুর্বল তার বেলায় ঘটে চাকুরীচ্যুত। প্রবাদ রয়েছে টাকা যখন কথা বলে আইন অন্ধ হয়ে যায়, আর সত্য কথা জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এটাই বস্তবতায় পরিণত হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন জনগণের বন্ধু, পুলিশ জনগণের সেবক, পুলিশ জনগণের রক্ষা কবজ, তার কতটুকু বাস্তবতা আছে। টাকা ছাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করা যায় না। টাকা ছাড়া মামলা হয় না, টাকা ছাড়া পুলিশ আসামি ধরেনা অথচ জনগণের টেক্সের টাকায় পুলিশের বেতন, রেশন ও ঝুকি ভাতা দেয়া হচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিষয়টি থানা কম্পাউন্ডে নিরবে দাড়িয়ে থাকলে দেখা যায় বাস্তব চিত্র। তবে তার শাথে পাল্লা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিআইডি অফিসের সোর্স মোফাজ্জল ও বসে থাকেনি, সিআইডি পুলিশের বড় বড় কর্মকর্তাদের নাম বিক্রি করে নারায়ণঞ্জ জেলা থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, অবৈধ্য মাদক, চোরাই তেল ব্যবসায়ী ছাড়াও অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোফাজ্জলের পার্সের দোকান প্রতি মাসে ১০/১২ লক্ষ টাকা আদায় করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রায় পরপর রির্পোট প্রকাশ হলে ইতিমধ্যে কয়েকজন ইন্সেপেক্টরকে অন্যত্র বদলি করা হয় এর সাথে এক জন এ.এস.পিকে ও বদলি করা হয়। কিন্তু মোফাজ্জল কোন পুলিশ সদস্য নয়, সে সামান্য একজন সোর্স তার দ্বারা সিআইডির কিছু অসাধু কর্মকর্তা রয়েছে তারাই মোফাজ্জলকে পুজি করে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, আর সে সুযোগে সোর্স মোফাজ্জল ও হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, তার বদৌলতে গড়ে তুলছেন নারায়ণগঞ্জ বাবুরাইল এলাকায় পাঁচ তলা বাড়ী, ফতুল্লা রোসেং হাউজিং এলাাকায় সাত শতাংশ জমির উপর নির্মান করা আলিশান বাড়ী, নারায়ণঞ্জ টার্মিনাল এলাকায় বেশ মটর পার্সের দোকান, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ম্যারাডোনা ও বেনামে রয়েছে মটর পার্সের গোডাউন, এ ছাড়াও নিজ স্ত্রীর নামে রয়েছে ব্যাংক ব্যালেন্স, সব কিছুই সিআইডি পুলিশের নাম বিক্রি করে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। তবে মোফাজ্জলের পিছনে রয়েছে কিছু অসাধু কর্মকর্তা তাদের সেলটারে মোফাজ্জল বীরদর্পে চাঁদা আদায় করে চলছেন। আর তিনি হচ্ছেন একজন এডিশনাল এসপি। তিনটি জেলার দায়িত্বে রয়েছেন। তার নাম ঠিকানা ও কোন ব্যবসায়ীর কাজ থেকে কত টাকা চাঁদা আদায় করছে তার ফিরিস্তি নাম ঠিকানাসহ আগামি সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া চলতি সংখ্যায় তার দুটি বাড়ী, দোকান ও তার নিজের ছবি প্রকাশ করা হলো। সোর্স মোফাজ্জলের বিষয়ে আরো গভীরে অনুসন্ধান চলছে। তার বিস্তারিত দেখুন আগামী সংখ্যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen + 10 =