রৌমারী-রাজিবপুরে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পুরনে তিন গুন অতিরিক্ত ফি নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

0
690

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী-রাজিবপুরে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পুরনে তিন গুন অতিরিক্ত ফি নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন হলেও আমলে নেয় না কেউ। অভিযোগ হলেই শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় ফ্যাইল করার ভয় ভিত্তিতে অভিযোগ করতে চায় না কেউ।
গত ১২ নভেম্বর রবিবার উপজেলা চত্তরে সকাল ১১ টার দিকে এসএসসি দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে বাসদের কমরেড খালেকুজ্জামান এর নেতৃত্বে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ৪ টি দাবী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, মহির উদ্দিন, আবু তালেব, শফিউর রহমান, কামরুজ্জামনসহ আরো নেতৃবন্দ।
বক্তাগণ বলেন, এসএসসি, সমমান ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফরম পুরন যখন চলছে ঠিক সেই মুহুর্তে একদল লোভী, গরীবের অর্থ মহোৎসবে নামছে। এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, ব্রম্মপুত্র নদী বিচ্ছিন্ন, মঙ্গা পিড়িত কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী ও রাজিবপুরসহ দুই উপজেলার। এখানে প্রায় ৯৮% মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এখানকার মানুষের আয় খুবই কম। বর্তমানে এসএসসি সমমান ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফরম পুরন চলছে এবং প্রায় শেষের দিকে। ঠিক ওই সময় স্কুল মাদ্রাসা ও ভোকেশনাল কেউ সরকারী বিধি নিষেধ না মেনে যার যার চাহিদা মোতাবেক ফরম পুরন ফি নির্ধারণ করে সারা রৌমারী- রাজিবপুর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে লুটপাটের এক আখড়া তৈরী করে ওই আখড়ায় ফেলছে এই হতদরিদ্র এলাকার অভিভাককে। সরকার অনুমোদিত বা অনুমোদনবিহীন স্কুল কাম কোচিং সেন্টার সমুহে সরকারের নির্ধারিত ফি এর দ্বিগুন অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এদের কাছে গরীব অসহায় মানুষের ছেলে মেয়েরা জিম্মি। বিগত বছর গুলিতে এলাকার গরীব দুঃখী ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন। প্রতিবাদ করেও প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি আমাদের শিক্ষা বোর্ডের। আমাদের দুই উপজেলায় দুর্নীতির আখরায় পরিনত হয়েছে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের হাত থেকে রক্ষা পেতে দরিদ্র এলাকার মানুষ গুলো প্রতিকার চেয়ে অভিযোগে তা উল্লেখ্য করেন সচেতন মহলগনরা। আমাদের দাবী গুলির মধ্যে স্কুল, মাদ্রাসা ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় সরকারী বিধি অনুসারে ফরম পুরনের ব্যবস্থা করতে হবে। আদায়কৃত অতিরিক্ত ফি ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কোচিং ফি ও প্রতি বিষয়ের উপরও জরিমানা ব্যবসা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। অনুমোদন বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে এবং স্কুল কেন্দ্রীক শিক্ষা ব্যবস্থা করা। বক্তব্য শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্বারক লিপি দেন। স্বারক লিপিতে উপরে উল্লেখিত দাবীসমহ যে ৪ট দাবী করা হয়েছে তার একটিরও প্রতিকারের সংবাদ এখনো পায়নি তারা। এমন দায়সারা ভাবে চললে দেশ ও জাতীর উন্নয়ন ঘটবে কিভাবে। এধরনের বিষয় গুলি ক্ষতিয়ে দেখার জুররী বলে মনে করেন সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গরা। তা না হলে ওই দুর্নীতিবাজরা ধিরে ধিরে বেড়েই চলবে এমনটা হতে দেয়া জাবে না। কারন বর্তমান সরকারের আমলে ৫ হাজার টাকার বেতনধারীরা পাচ্ছেন প্রায় ২৫ হাজার টাকা। তারপরও কেন এতো তালবাহানা দরিদ্রর টাকা ছাড়া মুন ভড়েনা অর্থলুভি শিক্ষকদের

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × 2 =