সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ
নারায়নগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোডে হালিমা শপিং টাওয়ারে অবস্থিত সুগন্ধা হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোগীদের সাথে প্রতারনা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কামিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালালেও রহস্যজনক কারনে সুগন্ধা হাসপাতালে অভিযান চালাইনি।
সুগন্ধা হাসপাতালে আসা বিভিন্ন রোগীদের হয়রানি করছে বলে জানান যায়। সুগন্ধা হাসপাতালে বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সিদ্ধিরগঞ্জ জুড়ে নানা আলোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। অনেকে বলছেন সুগন্ধা হাসপাতালের বিভিন্ন অপকর্ম এবার ধরা পড়বে। মানুষের কাছ থেকে কসাইয়ের মত টাকা হাতিয়ে নেওয়া সুগন্ধার হাসপাতালের বিচার এবার হবেই হবে। রোগীদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। রোগীরা জানান, সুগন্ধা চিকিতসা নিতে এসে টাকা- পয়সা দিয়েও কোন ধরনের উপকার পাইনি। নামিদামি চিকিতসকের সাইনবোড লাগিয়ে মানুষের দৃষ্টি আর্কষন করেন সুগন্ধা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উক্ত হাসপাতালের মালিক হলো কবির, মোস্তফা, আয়ুব, ডাঃ নিজাম উদ্দিন। হাস্যকর বিষয় হলো ডাক্তার নিজাম উদ্দিন একজন মানসিক ডাক্তার, তিনি সব ধরনের রোগীদের চিকিতসা করেন। এক ডাক্তার দেখাতে গেলে অন্য ডাক্তার দেখাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক রোগী বলেন, আমি কিছুদিন আগে সুগন্ধা হাসপাতালে একজন রোগী নিয়ে আসি , রোগী সমস্যা ছিল পেট ব্যাথা, হঠাত হাসপাতালের একজন লোক এসে বলে তার এবেনটিস ব্যাথা তাকে অপারেশন করতে হবে। খরচ বাবদ ২০হাজার টাকা লাগবে। পরে রোগীর লোকজনরা রোগীকে নিয়ে অন্য হাসপাতাল গেলে সেখানে পরীক্ষা করে দেখা যায় তার গ্যাস্টিকের সমস্যা। এভাবেই রোগীদের বোকা বানিয়ে এবং প্রতারনা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সুগন্ধা হাসপাতালটি শেল্টার দিচ্ছেন এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। হাসপাতালের ভিতরে অনেক নোংরা। বিভিন্ন মেশিন জং ধরা। পরীক্ষা নিরীক্ষার রুমের অবস্থা অনেক করুন। আশেপাশের দোকানদাররা জানান, প্রতিদিন সুগন্ধা হাসপাতালে একটা না একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। রোগীদের সাথে বাড়তি টাকা আদায়ের বিভিন্ন ধরনের ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই উক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগিরা।