নোমান মাহমুদঃ সাভারে ধর্ষণের অভিযোগে নাজমুল মিয়া (২২) নামে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক কর্মচারীকে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। গত ০৩ ডিসেম্বর দিবাগত গভীর রাতে সাভারের থানা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ধর্ষণের স্বীকার ঐ তরুণী ও আটক ধর্ষণকারী যুবক নাজমুল সাভারের থানা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড সাভার শাখায় চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে দীর্ঘ দুই বছর ধরে কর্মরত রয়েছে । একই সঙ্গে কাজ করার সুবাদে এক সময় অভিযুক্ত যুবকের সাথে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুযোগে বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে ঐ যুবক তরুণীকে একাধীকবার কর্মস্থল পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বাথরুমসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই তরুণী যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ওই যুবক বিয়ে করতে না চাওয়ায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন সমঝোতার মাধ্যমে যুবতীর কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ভুক্তভোগী ঐ তরুনীর সাথে কথা বলে জানা যায় গত ২৫শে নভেম্বর ২০১৭ তারিখে অভিযুক্ত যুবক ঐদিনই মেয়েটিকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে যুবকের বাসায় নিয়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে মেয়েটির সাথে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হয়। কিন্তু বারংবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুনীকে ধর্ষণ করার পরও বিয়ে না করায় সর্বশেষ গত রোববার তরুনী সাভার মডেল থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রাতেই থানা বাসষ্ট্যান্ড থেকে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে অভিযোগ পাওয়া যায়, তরুনীকে ধর্ষণের বিষয়টি একাধীকবার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড সাভার শাখার ম্যানেজার জহিুরুল ইসলাম ও মার্কেটিং ম্যানেজার আব্দুল খালেককে জানালে তারা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে হয়রানী করে এবং অুিভযুক্ত যুবকের পক্ষ নিয়ে তরুনীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাছাড়াও এই বিষয়ে সাংবাদিক কিংবা পুলিশকে জানালে তারা কিছুই করতে পারবে না এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে চাকুরী থেকে বরক্ষাস্ত করা হবে বলেও শাষানো হয় ধর্ষিতা তরুনীকে। অন্যদিকে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারের পর থেকে এডভোকেট নাজনিন নামে পরিচয়দানকারী কতিপয় এক নারীসহ সাভারের বিশেষ একটি মহল তরুনীকে ধর্ষনের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে ভুক্তভোগী তরুনী ও তার পরিবারের বক্তব্য নিতে গেলে সেখানেও তাদের বক্তব্য নিতে বাধা দেন এডভোকেট নাজনিন ও সাভার মডেল থানায় কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাওকেই পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত যুবক নাজমুল মিয়ার (২২) গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলা পাংশা থানায়। এবিষয়ে সাভার মডেল থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করা হয়েছে।