মহিলা সিটের যৌক্তিকতা, ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমতা

0
1024

সত্যিই আর ভালো লাগছে না। একই কথা ঘুরেফিরে আর কত বলা যায়? সেই তো গণপরিবহনে নারীর দুর্ভোগ, মহিলা সিটের যৌক্তিকতা, ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমতা! না বুঝলে বোঝানো যায়। কিন্তু বুঝেও না বোঝার ভান করলে? বাসে মহিলা সিট নিয়ে নানা রকম তর্ক–বিতর্ক, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য! আরোহী, চালক, হেলপার প্রত্যেকের কাছেই বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এই অবস্থায় যদি কর্তৃপক্ষÿঢিলে দেন, তবে তো কথাই নেই! রাজধানীর হাতিরঝিলে চক্রাকার বাসগুলোতে সবাইকে টিকিট কেটে লাইন ধরে উঠতে ও নামতে দেখা যায়। বেশির ভাগ যাত্রী চাকরিজীবী হওয়ায় তাঁদের আচরণেও আদবকেতার পরিচয় পাওয়া যায়। সবই ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা হলো মহিলা সিট নিয়ে। বেশ কিছুদিন হলো হাতিরঝিল চক্রাকার বাসে চক্রাকার ‘সিটিং’ ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরের ভেতরের যাত্রীবাহী বাসগুলোর মতো। নতুন ধরনের সিটিং ব্যবস্থায় মহিলা সিট নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন জাগছে। কোনো কোনো বাসে মহিলা সিটের বিষয়টিরই উল্লেখ নেই। কোনো কোনো বাসে আটটি সিটের কথা বলা থাকলেও মূলত বসা যায় সেখানে ৪ জন কিংবা ৬ জন। চালকের পাশে একেবারে সামনে একটি সিট আছে আলাদা করে। যদিও সুস্পষ্ট নয় সিটটি কার জন্য! বাসে পর্যাপ্ত হাতলের ব্যবস্থা নেই। দাঁড়িয়ে থাকা নারীদের জন্য মাঝখানটা ফাঁকা হওয়ায় কিছু ধরে দাঁড়ানোটা বেশ দুষ্কর। হাতিরঝিলের বাসে মাঝেমধ্যেই হেলপারকে বলতে শোনা যায়, ‘মহিলা সিটটা ছেড়ে দিয়ে বসেন’। কিন্তু মজার বিষয় হলো, কোনটা মহিলা সিট, সেটা যেমন সুস্পষ্ট নয়, আবার সুনির্ধারিতও নয়। মহিলা সিট কয়টা? বাকি সিট কই? এ ধরনের প্রশ্নে কোনো জবাব নেই! মাঝে মাঝে দায়সারাভাবে হয়তো বলে ‘এগুলোও মহিলা সিট’! কিন্তু ‘কোনগুলো?’ কিংবা সুনির্দিষ্ট অথবা সুস্পষ্ট করে লেখা নেই কেন? হাতিরঝিলে চক্রাকার বাসে সময় কম লাগে। সিট নিয়ে কোনো নারী খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কথা বলেন না। একই অবস্থা দেখা গেল মিরপুর-মোহাম্মদপুর রুটের   ‘স্বজন’ বাসেও। মহিলাদের সিটে পুরুষেরা দিব্যি বসে আছে। হয়তোবা জোর যার মুলুক তার, ভাবটা এমন। মহিলা সিটে    মহিলা না থাকলে পুরুষ তো বসেই! সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক ক্ষতি হওয়ার তো কথা নয়! তাহলে সমস্যা কোথায়?’

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen − 7 =