২ লাখ ৭৭ হাজার বাণিজ্য মেলায় জরিমানা

0
611

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষদিকেও তেমন কোনো অভিযোগ পড়ছে না, মেলা প্রাঙ্গণের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দপ্তরে। ভোক্তা আধিকার সংরক্ষণ আইনে এ পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। ঢাকা বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এবং মেলা দপ্তরের সমন্বয়ক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, মেলার ২৩তম দিন পর্যন্ত মঙ্গলবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ এসেছে মোট ২৫টি।

যার মধ্যে ৪টির কোনো প্রমাণ মেলেনি। আর ৬টি অভিযোগ ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সমঝোতায় নিষ্পত্তি করেছে অধিদপ্তর। বাকি ১৪টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা থেকে ২৫ শতাংশ হারে অর্থাৎ ২৯ হাজার টাকা অভিযোগকারীদের দেয়া হয়েছে। মেলায় নিজ তদারকিতে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেলার এ খাত থেকে ইতোমধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা জমা পড়েছে সরকারি কোষাগারে। মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, প্রথম থেকেই অধিদপ্তর এবং ভোক্তাদের সচেতনতায় এবার মেলায় বিক্রেতারা অনিয়ম কম করছে, তাই অভিযোগও কম আসছে। জানা গেছে, অরিজিনাল হাজির বিরিয়ানি, ক্যাফে শামস এবং দিল্লী সরমা বিরিয়ানি এই ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ এসেছে। মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, আসলে বিক্রেতাদের ব্যবসায়ীক নৈতিকতায় ফিরিয়ে আনার প্রতিই আমরা এবার বেশি জোর দিচ্ছি। তাই মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর কঠোর না হয়ে অভিযোগকারীকে সঙ্গে নিয়েই মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। এতে কিছু অভিযোগ ক্রেতা-বিক্রেতার সমঝোতায় নিষ্পত্তি হচ্ছে, আবার কোনো প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার আর্থিক জরিমানাও করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আরো বলেন, ইতোমধ্যে আমরা তদারকির অংশ হিসেবে, বিদেশি কিছু প্যাভিলিয়নের বিক্রেতাদের ট্রেডলাইসেন্সসহ পণ্য আমদানি ও ভ্যাট পরিশোধের কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য চেয়েছি। তারা প্রকৃতই প্যাভিলিয়নের নাম অনুযায়ী সে দেশের পণ্য বিক্রি করছে কিনা, তা স্পষ্ট হবে এ থেকে। মেলার ২৫তম সন্ধ্যার মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেলা কার্যালয়ে এসে ওইসব বিক্রেতারা তাদের কাগজপত্র দেখিয়ে যাবে বলেও জানালেন এই সমন্বয়ক। পুলিশের মেলা ইনচার্জ এসআই তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এবারের মেলায় ক্রেতা-বিক্রেতা-দর্শনার্থী সবার উপস্থিতি যথেষ্ঠ প্রাণবন্ত। এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seven − five =