শিশুদের জন্য ক্ষতিকর ভয়াবহ মাত্রায় সিসার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে

0
698

বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হওয়া কিছু ব্র্যান্ডের গুঁড়োদুধে মানবদেহের, বিশেষ করে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর ভয়াবহ মাত্রায় সিসার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এরপর সরকার ল্যাবে পরীক্ষা ছাড়া গুঁড়োদুধ বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএসটিআই মহাপরিচালক, দেশের সব কাস্টমস কমিশনার ছাড়াও বিভিন্ন দফতরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

চিঠিতে সিসার ভয়াবহতা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গুঁড়োদুধ বাল্ক/ব্যাগে বিদেশ থেকে আমদানির পর দেশে রি-প্যাকিং হয়ে বাজারজাত হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য আমদানি পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত জরুরি। আমদানি করা গুঁড়োদুধের প্রতিটি চালান বন্দর থেকে খালাস করে ল্যাব টেস্টে সিসা (লেড) পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত গুদামজাত করে নিজ জিম্মায় রাখতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই বাজারজাত করা হবে না মর্মে প্রতিটি আমদানিকারক কর্তৃক অঙ্গীকারনামা গ্রহণপূর্বক চালান খালাস করতে হবে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, আমদানি করা প্রতিটি চালানে নমুনা যথাযথভাবে সংগ্রহ করে ঢাকার এটমিক এনার্জি সেন্টার ও বিসিএসআইআর, আইপিএইচ পরীক্ষাগারকে গুঁড়োদুধে লেড- এর মাত্রা পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিটি চালানের নমুনা সিলগালা করে বর্ণিত যেকোনো একটি ল্যাবে প্রেরণ করে প্রতিটি চালানের বিপরীতে আমদানিকারক কর্তৃক প্রদত্ত অঙ্গীকারনামা এবং ল্যাব টেস্টের ফলাফলের অনুলিপি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কোন কোন ব্র্যান্ডের গুঁড়োদুধে হেভি মেটাল (লেড) পাওয়া গেছে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আপাতত প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × 2 =