ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে সাম্প্রদাযিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার কোন সুযোগ দেওয়া হবে না। আজ পাবনা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল পৌর মিলনায়তনে (মুক্তমঞ্চ) বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ পাবনা জেলা শাখার মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ঐক্যপরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি শ্রী চন্দন কুমার চন্দের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম.পি. মকবুল হোসেন, এম.পি. শামসুল হক টুকু, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারোফ হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. শ্রী নিম চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিনয় জ্যোতি কুন্ডু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ আরও বলেন, পাকিস্তান সরকার এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ রোপণ করে যেতে চেয়েছিল। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তিগুলোকে শত্রু সম্পত্তি নামে অভিহিত করেছিল। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ ধরনের ঘৃন্য নাম শত্রু সম্পত্তি পরিবর্তন করে অর্পিত সম্পত্তি বা ভেস্টেড প্রপার্টি হিসেবে নামকরণ করেছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সেকুলারিজমে বিশ^াসী ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল শ্রেণির মানুষের প্রতি মায়ের মমতা দিয়ে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ ঘোষণা দিয়ে এ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার এক যুগান্তকারী স্বপ্ন রচনা করেছেন। মন্ত্রী আরও বলেন, গণতন্ত্র বিরোধী, অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চেতনা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অশুভ প্রেতাত্মারা ঘাপটি মেরে আছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক্যবদ্ধভাবে ঐসমস্ত অশুভ প্রেতাত্মাদের প্রতিহত করব। অর্পিত সম্পত্তি সম্পর্কে মন্ত্রী আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় প্রথমবার এসেই অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ বিল উত্থাপন করে। এ আইনটি এ পর্যন্ত ছয়বার উত্থাপিত হয়। আইনটি খুব শিগগিরই পাশ হয়ে যাবে। খ তালিকা বাতিল করা হয়েছে। আইন সবার জন্য সমান, কোন বৈষম্য রাখা যাবে না। সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন করেই আইন পাশ করা হয়। এখানে ফ্রি স্টাইলে বক্তৃতা দিলে চলবে না।