মোঃ ফজলুঃ রাজধানীর দক্ষিণখানে পূর্ব গাওয়াই, পূর্বপাড়া আল-আকসা মিষ্টি কারখানা গড়ে উঠেছে। উক্ত কারখানায় গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ও কয়েকজন সাংবাদিক বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পরিদর্শন করে। কারখানায় প্রবেশাদার দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেক, মিষ্টি প্রস্তুত হচ্ছে।
কারখানার ভিতরে আলোর স্বল্পতা এবং মাকোড়সার জাল দেখতে পাওযা যায়। কারখানার মেঝের টাইলসে অত্যান্ত নোংরা অবস্থায় এবং কারখানার অন্যান্য সদস্যদের হাতে মিষ্টিও বেকারি সামগ্রী প্রস্তুতের সময় হাতে গ্লোপ(দস্তানা) দেখা যায় না । মেশিনের মাধ্যমে কেক, বিস্কুটের খামির প্রস্তুত করলেও পরনে এ্যাপরন ও খালি হাতে মেশিনের সাহায্যে ঐ প্রস্তুতকৃত খামির আবার বিভিন্ন কেক, বিস্কুটের ট্রেতে পরিবেশন করছে তারা। যা ভোক্তার জন্য অত্যান্ত ঝুকি পূর্ণ। তথ্য নিয়ে জনতে পারা যায় ইতোমধ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তেরের (১ কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন-৮ম তলা, ঢাকা) ম্যাজিষ্টেট শাহীন আরা মমতাজের নেতৃত্বে দক্ষিণখান আল-আসকা মিষ্টি কারখারা বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯/৩৭ ধারায় অনাদায়ী ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা জরিমানা হলেও (রশিদ নং-১০৬৬০) পরবর্তিতে তাদের মিষ্টির খারখানার পরিবেশ কোন পরিবর্তনও দেখাযায়নি। এমনকি কারখানার সামনে তাদের প্রতিষ্ঠানের কোন সাইনবোর্ড দেখা মেলেনি। এই কারখানায় তৈরিকৃত মিষ্টি ও বেকারি সামগ্রী কভার ভ্যানের মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন বেকারি ও মিষ্টির দোকানে চলে যায়। এমনকি দক্ষিণখান গাওয়াইর বাজার মাদ্রাসা রোড মোড়ে আল-আসকা মিষ্টির দোকান দেখাযায় সেখানেও কোন সাইন বোড দেখা মেলেনি। দক্ষিণখান পূর্ব গাওয়াইর, পূর্ব পাড়া, কারখানার নামেই আল-আসকা রোড এবং উক্ত কারখানার মালিক আব্দুল আলিম। এ বিষয়ে কারখানার মালিক অথবা মালিক পক্ষের লোকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে উক্ত কারখারা মিষ্টির কারিগর আজাদ সাংবাদিকদের বলে তাদের মালিক বাহিরে আছেন এবং কারখানার পরিবেশের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন উত্তর দিতে ইচ্ছুক বলে জানান। এধরনে অস্বাস্থকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত কারক ও কারখানার প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করে বর্তমান শিক্ষিত সমাজ।