আইন প্রশাসনের অনুরোধে অনশন ইতি টানলো বিএনপি

0
394

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সকাল ১০টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে পূর্ব ঘোষিত অনশন কর্মসূচি শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। অনশন কর্মসূচি চলার কথা ছিল বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কিন্তু ৩ ঘণ্টা আগেই অনশন শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ এই অনশন ভাঙান। আজ বুধবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত পূর্বঘোষিত অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মির্জা ফখরুল এ ঘোষণা দেন। তিনি সাড়ে ১১টার পর এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের অনশন কর্মসূচি বিকেল ৪টা পর্যন্ত করার কথা থাকলেও প্রশাসনের অনুরোধে তা ১টায় শেষ করতে হলো।

অনশনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের নেতারা বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তাঁদের দাবি, সরকার অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে। বর্তমান সরকার খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাইরে রেখে আবার একটি পাতানো নির্বাচন করতে চায়।

২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীরবিক্রম) বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে শেখ হাসিনার সরকার রেহাই পাবে না। খালেদা জিয়াকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে।’

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে প্রধানমন্ত্রী শান্তি পাবেন না। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।’

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তাঁকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। তারা চায়, বিএনপি ও ২০ দলকে বাইরে রেখে ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতা দখল করতে। কিন্তু সেটি আর করতে দেওয়া হবে না।’

অনশনে উপস্থিত আছেন—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ২০ দলের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল করিম, ন্যাপ-ভাসানীর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

অপরাধ বিচিত্রা।১৪/০২/২০১৮

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 5 =