কারাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গণঅভূত্থানের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘অবৈধ অনৈতিক সরকার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় তাদের নীল নকশা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই নীল নকশা হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। আগামী নির্বাচনে যাতে খালেদা জিয়া অংশ নিতে না পারেন এ চক্রান্ত চলছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
তিনি বলেন, এখন সময় জেগে উঠার, এখন সময় প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া। তাই আসুন, দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের মধ্যে দিয়ে দেশের স্বাধীনতার প্রতীক খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আগামী নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত করতে অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিন। নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করুন।
খালেদা জিয়াকে পরিত্যক্ত কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, সহ–প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নেতা ডা. একে এম আজিজুল হক, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক এম আব্দুল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।