খন্দকার মোহাম্মাদ আলীঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পারিবারিক কলহের জেরে ৩ মাসের অন্তসত্বা স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (২২) কে আগুনে পুরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
বুধবার ভোরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোনিয়া মৃত্যু বরণ করেণ। সে বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের গাছচাপড়ী গ্রামের জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ও এনায়েতপুর থানাধীন রূপনাই ছোনভিটা গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গালবার বিকালে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে পাষন্ড স্বামী জাহাঙ্গীর। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সোনিয়ার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্বার করে প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অস্থায় বুধবার ভোরে সে মারা যায়। ঘটনার পর থেকে স্বামী জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছে।
সোনিয়ার নানা শুকুর শেখ জানান, ২০১৪ সালে রুপনাই ছোন ভিটা এলাকার দিনমুজুর আব্দুল খালেকের মেয়ে সোনিয়ার সাথে বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের গাঁছচাপড়ী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তাঁত শ্রমিক জাহাঙ্গীরের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে জাহাঙ্গীরের ও তার পরিবারের সদস্যরা মাঝে মধ্যেই মারপিট করতো তাকে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে বাড়ির পাশে একটি গলিতে নিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী জাহাঙ্গীর সোনিয়ার চোখ গলে যায়। এছাড়া মুখ মন্ডল, হাত, পা সহ শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপর্ক্ষ সোনিয়াকে ঢাকায় নেওয়ার কথা বলেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের লোকজন পালাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, সেনিয়ার মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামি জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।