এক বছরের ব্যবধানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংকে লোকসানি শাখা কমেছে গড়ে ১৭৫টি। আবার উল্টো হয়েছে সোনালী ব্যাংকের ক্ষেত্রে। বছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা বেড়েছে ৫৭টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক চাপে যত্রতত্র শাখা খোলার কারণেই লোকসানি শাখা কমছে না।বছরের পর বছর এসব শাখার লোকসানের কারণে জনগণের করের টাকায় মূলধন ঘাটতি পূরণ করে যাচ্ছে সরকার।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে চার ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা ছিল ৪৮৯টি। বছর শেষে সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখা ছিল ১২৪টি। এক বছরে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা ৫৭টি বেড়ে ২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে ১৮১টিতে। বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের দেশব্যাপী শাখার সংখ্যা এক হাজার ২০০টি। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘আপনাদের শ্রেণিকৃত ঋণের আশানূরূপ কোনো উন্নতি হয়নি, যা গত বছরের চেয়ে বেড়ে ৩৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ হয়েছে, এটা কাঙ্ক্ষিত বা সন্তোষজনক নয়। এছাড়াও লোকসানে আছে আপনাদের ব্যাংকের ১৮১টি শাখা, যেখানে ২০১৫ সালে ছিল ১২৪টি’।লোকসানে থাকা শাখাগুলোকে লাভজনক করে তুলতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ‘টাইম বাউন্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ নেওয়ার পরামর্শ দেন গভর্নর। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন কারণে অনেক আগে থেকে এসব শাখা লোকসানি হয়ে পড়েছে। লোকসানি শাখা কমাতে নানা ধরনের উদ্যোগও গ্রহণ করেছি। ফলে ধীরে ধীরে লোকসানি শাখা কমে যাবে। ২০১৬ সালে রূপালী ব্যাংকের ১৪৩টি লোকসানি শাখা থাকলে এক বছরে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা কমেছে ১১০টি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৩টিতে। লোকসানি শাখা কমার বিষয়ে জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৭ সালে বার্ষিক সাধারণ সভায় বলেছিলাম, ১৭ সাল হবে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি ব্যাংকটিকে সরকারি সব