বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে সুপারসনিক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

2
4218

মোঃ রাসেল কবির
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল রাষ্ট্রনায়কচিত নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে সুপারসনিক গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ মাথা উচুঁ করে দাড়াচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূনতা অর্জন করে দেশ আজ খাদ্য রপ্তানী করছে। ক্ষুধা আর দারিদ্রতা দূর করে বাংলাদেশ এখন স্বনির্ভর। উত্তর বঙ্গে মঙ্গা বলতে কিছু নেই। দূর্ভিক্ষ এখন জাদুঘরে। বাংলাদেশ এখন আর ঋন সহায়তার জন্য দাতা সংস্থার কাছে ধর্না ধরে না। বিশ্ব ব্যাংকের রক্ত চক্ষুকেও ভয় পায় না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সাফল্য বলছে যুক্তরাজ্যের ‘দি ইকোনমিষ্ট’ পত্রিকা। তারা তাদের প্রতিবেদনে বলেন, মাথাপিছু জিডিপিতে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জিডিপি ১৬০২ (এক হাজার ছয় শত দুই) মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ (রির্জাভ) এখন ৩১.১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। নিজেদের অর্থে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্ম্মান করছে শেখ হাসিনা সরকার। মাত্র ১৬শ থেকে বর্তমানে ১৬ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। “শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই শ্লোগানকে বাস্তবায়নে দেশের প্রত্তন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌছে দিচ্ছে বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্ম্মান শুরু করে বাংলাদেশকে পারমানবিক বিশে^ প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সুযগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা। রাজধানী ঢাকাকে ফ্লাইওভারের নগরী করে তুলছে। মেট্রোরেল, উড়াল সেতুসহ একাধিক মেঘা প্রকল্প আগামী দুই-এক বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন হয়ে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম, নারায়নগনঞ্জ, কুমিল্লা, গাজিপুর সহ দেশের অনেক শহরে নতুন ফ্লাইওভার ও মহাসড়কগুলুকে চার লেন, ছয় লেন ও আট লেনে প্রসস্থ করে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কর্ণফুলি নদীর নিচ দিয়ে ট্যানেল নির্ম্মান এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। দক্ষিন বঙ্গের জেলাগুলুতে নতুন রেল লাইন বসিয়ে নতুন নতুন ইঞ্জিন ও বগি সংযোযন করে রেল যোগাযোগ নেটওর্য়াককে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদ। গভীর সমুদ্র বন্দর, পায়রা বন্দর, পানগাঁও পোর্ট নিম্মান করে বৈদেশিক আমদানী রপ্তানী বানিজ্যে ব্যাসায়ীদের অনেক প্রশংসা পেয়েছে সরকার। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা এখন চাঁঙ্গা। নব্য স্বাধীন বাংলাদেশের ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের যেখানে বাজেট ছিল ১৭৫ কোটি টাকা। সেখানে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশের বাজেট ৪ লাখ ২শত ৬৬ কোটি টাকা। বিশ^ ব্যাংকের অর্থনীতিবীদ কৌশিক বসু বাংলাদেশের এত দ্রুত উন্নয়নে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের দেশ গুলোর মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল। দারিদ্র বিমোচনে বিশ্বের জন্য অনুসরনীয় এবং অনুকরনীয়। আর্থ-সামাজিক খাতে অতি দরিদ্রের হার ১২ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছে দেশটি। শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বিভিন্ন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন হওয়ায় দেশের মানুষের গড় বয়স ৬৫ থেকে ৭১ এ উন্নিত হয়েছে। এভাবে শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধূলায়, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানী, রেমিটেন্স আয় বৃদ্ধিতে সরকারের সাফল্য ইশ্বানাতীত। ১লা জানুয়ারী ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে ৩৫ কোটিরও বেশি বই তুলে দেওয়া শেখ হাসিনা সরকারের এক বিশাল সফলতা। যা বিশ্বের হাতে গনা মাত্র ২-৩ টি দেশেই সম্ভব হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোবল, সঠিক নেতৃত্ব ও সময়োচিত দিক নির্দেশনায় আমাদের জাতিকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। টেলিকমিউনেকেশন তথ্য-প্রযুক্তি, ই-মেইল, ইন্টারনেট, মোবাইল ব্যাংকিং, বিকাশ, ইউ-ক্যাশ, থ্রী-জি’র জন্য তো প্রত্তন্ত গ্রামের গৃহবধূও শ্রদ্ধা ভরে সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কিন্তু এদেশের কিছু কুলাঙ্গার এই টেকনোলজির অসৎ ব্যাবহার করে সরকারের ডিজিটালাইজেশনের পথে অন্তরায় সৃষ্টির পায়াতারা করছে। এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে, শেখ হাসিনাকে। আগুন সন্ত্রাসী, যুদ্ধাপরাধী, মানবতা বিরোধী অপশক্তি শেখ হাসিনার উন্নয়নের পথে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে। সব অপশক্তির বাধাকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বিশ্বে বুকে মাথা উচু করে দাড়াচ্ছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen + 19 =