এস এম নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে

1
813

ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ দুদকের হাতে গ্রেপ্তার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার (চলতি দায়িত্ব) এস এম নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল তাকে বরখাস্তের একটি অফিস আদেশ জারি করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে রমনা মডেল থানার মামলায় কারাগারে রয়েছেন এই প্রকৌশলী।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সেগুন রেস্তরাঁ থেকে দুদকের উপ-পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে নৌ প্রকৌশলী নাজমুল হককে। জানা গেছে, সৈয়দ শিপিং লাইন নামের একটি শিপিং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে সব আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ফাঁদ পাতে দুদক। পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে সেগুন রেস্তরাঁয় আসার কথা বলেন নাজমুল হক। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল দুদকের দলটি। ঘুষ নেয়ার পরপরই দুদকের দলটি হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে নাজমুল হককে। সৈয়দ শিপিং লাইনের জাহাজের রিসিভ নকশা অনুমোদন ও নতুন জাহাজের নামকরণের অনুমোদনের জন্য ১৫ লাখ টাকা ঘুষ চান নাজমুল। এর মধ্য থেকে পাঁচ লাখ টাকা আগেই নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় কিস্তির পাঁচ লাখ টাকা নিতে গিয়ে দুদকের ফাঁদে পড়লেন তিনি। দুদক সূত্র জানায়, এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদক তার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে একই দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কে এম ফখরুল ইসলামকে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার করেছিল দুদক। একটি জাহাজের নকশা অনুমোদন করতে মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তিনি জামিন নিয়ে মুক্তি পান। তবে নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি বিচারাধীন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen + two =