অস্ট্রেলিয়ার এক জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া তিন বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুর সাথে সারারাত ছিল ম্যাক্স নামের এক কুকুর। কুইন্সল্যান্ড থেকে শুক্রবার নিখোঁজ হয়ে যায় আরোরা নামের এক শিশু। তার বাড়ি থেকে হারিয়ে যাওয়ার পরপরই জরুরী সাহায্য সংস্থা তাকে খুঁজতে বের হয়, শুরু হয় ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা। কিন্তু তার আগেই শিশুটিকে খুঁজতে বের হয় ১৭ বছর বয়সী কুকুর ম্যাক্স।
শিশুটির পরিবারের সঙ্গেই থাকতো ম্যাক্স, যে কানে শোনে না এবং চোখেও ভালোভাবে দেখতে পায় না। নিখোঁজ হবার প্রায় ১৬ ঘন্টা পর শনিবার সকালে যখন শিশুটিকে জঙ্গলে পাহাড়ের ধারে খুঁজে পাওয়া গেল তখন তার সাথে ছিল ম্যাক্স। শিশু অরোরার দাদি লেইসা ম্যারি বেনেট বলছিলেন, তিনি তার নাতনির শব্দ দূর থেকে শুনেছিলেন। যে জায়গায় তাকে পাওয়া গেছে তা তাদের বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে। আমি যখন অরোরাকে খুঁজতে খুঁজতে পাহাড়ের উপর উঠলাম, কুকুরটাও আমার কাছে আসলো এবং আমাকে টেনে আমার নাতনির কাছে নিয়ে গেল- অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেন তিনি। শিশুটির পরিবার বলছে যে, তিন বছর বয়সী অরোরাকে খুঁজে বের করে তাকে সাবধানে আগলে রেখেছিল ম্যাক্স। আশ্রয় শুধু ছোটখাট কিছু আঁচড়ের দাগ আছে তার গায়ে। শিশুটিকে খুঁজতে একশোর মতো জরুরি সেবাদানকারী কর্মকর্তা ও ভলান্টিয়ার কাজ করেছে। আর সে কারণেই অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের পক্ষ থেকে ম্যাক্সকে বিশেষ সম্মান দেয়া হয়েছে। কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কুকুরটির বেশ প্রশংসা করেছে। মাত্র তিন বছর বয়সের একটা শিশু, আমি কল্পনা করতে পারছি যে রাতে সে নিশ্চয়ই ভয় পেয়েছিল এবং তার শীতও লেগেছিল বলছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা ক্রেইগ ব্যারি। কুকুরটি এই শিশুটির ভালো সঙ্গী ছিল। তিন বছর বয়সী এই শিশুটিকে কিছুটা আরাম দিতে পেরেছিল ম্যাক্স, তাকে আগলে রেখে উষ্ণতা দিয়েছিল যেন ঠান্ডা না লাগে। এটা আসলেই খুব অদ্ভুত ও দারুণ বিষয় বলছিলেন তিনি।