জাকিয়া সুলতানাঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি এলাকার বিল্লাল ভান্ডারির বাড়িতে নিত্যরঞ্জন চিতু দীর্ঘদিন যাবত ভাড়াটিয়া হিসেবে এক মেয়ে ও স্ত্রী কে নিয়ে বসবাস করেন। ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাএীর বাবা নিত্যরঞ্জন চিতু সাংবাদিকদের জানান, আমার স্থানীয় বাড়ী নাটোরে। আমি বর্তমানে কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি এলাকায় ভাড়া থাকি। আমার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে লেখাপড়া করছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে বাড়িতে না থাকার সময় স্থানীয় হাসিব মিয়ার ছেলে সৈকত (১৪) ও মিজানের ছেলে ছাব্বির (১৩) আমার অবুঝ ছোট শিশুকে ধর্ষণ করে। আমরা বাড়িতে আসার পর মেয়েটি ভয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। কি হয়েছে জানতে চাইলে সে কিছু বলেনি। পরে ব্যথায় কাতর হয়ে সে তার মাকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে।
পরে সে তার মায়ের কাছে ও বাড়ির মালিকের স্ত্রী সালমার কাছে ধর্ষণের কথা শিকার করে সব ঘটনা খুলে বলে। তখন কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। এদিকে মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ হওয়া মেয়েকে বাঁচাতে আমি মদনপুর, চিটাগাংরোড ও ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাই কেউ ভর্তি করতে রাজি হয় না। সবাই বলে এটা পুলিশ মামলা। কোথাও ভর্তি করতে না পেরে অবশেষে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করে রাতে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করি। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে এখনো সে গুরুতর অসুস্থ। বর্তমানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষিতার বাবা আরো জানান, আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহায় গরীব লোক বলে আমাকে ও আমার মেয়েকে কেউ বাঁচাতে বা সাহায্য করকে আসেনি। অভিযোগ পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ জিঙ্গাসাবাদের জন্য ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাড়ির মালিক বিল্লাল ভান্ডারী ও তার ছেলে শাহ জালাল, শামিম, রুমান, সোহেল, রাকিব এবং অভিযুক্ত সৈকতের বড় বোন হামিদা ও তার স্বামী সোহেলকে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১২ ঘন্টা পর এলাকার স্থানীয় লোকজন ধর্ষণের প্রধান দুই আসামীকে সোনারগাঁও থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ধর্ষক সৈকত ও ছাব্বিরকে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে তাদের এই অপকর্মের সহযোগিতা করার অপরাধে বিল্লাল ভান্ডারিকে আটক করে রাখে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। সোনারগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জসিম উদ্দিন জানান, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামের বিল্লাল ভান্ডারীর বাড়ির ভাড়াটিয়া নিত্যরঞ্জন চিতুর শিশু কন্যাকে সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে একই এলাকার হাছিবের ছেলে সৈকত, মিজান মিয়ার ছেলে সাব্বির। ঘটনাটি প্রথমে পরিবারকে না জানালেও পরে রক্তক্ষরণের কারণে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে রাতে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।