ফেনীতে সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহর গাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলি

0
1733

ফেনী প্রতিনিধিঃ

ফেনী-৩ আসনের সংসদ (সোনাগাজী-দাগনভূয়া) সদস্য ও সৌদি আরবস্থ জেদ্দা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী রহিম উল্যাহর ব্যাবহৃত গাড়ি ভাঙচুর ও তার মালিকীয় দুটি স্কেভেটর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ফাঁকা গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার মুহুরী সেচ প্রককল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার দুপুরে সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহ সোনাগাজী বাজারস্থ তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে এ ঘটনার জন্য ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, রাত ১২টার দিকে তার ব্যাবহৃত ল্যান্ডক্রুজার গাড়িটি (ভিএক্স, ভিএইট, ঢাকা মেট্রো- ঘ- ১৫-৩৯২২) মহুরী সেচ প্রকল্প সংলগ্ন তার মালিকীয় বালু মহলের কাছে রেখে হেঁটে রেগুলটর সংলগ্ন স্থানে যান। কিছুক্ষণ পর সড়ক পথে ও মুহুরী নদী পথে দু’দল দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি বোমা ফাটিয়ে ও ফাঁকা গুলি করতে থাকে। এক পর্যায়ে পেট্টল ঢেলে দূর্বৃত্তরা তার মালিকীয় দুটি স্কেভেটরে অগ্নি সংযোগ করে পুড়ে দেয়। এসময় তার মালিকীয় ল্যান্ডক্রুজার গাড়িটি প্রায় দু’কিলোমিটার উত্তর দিকে সোনাগাজী-মহুরী প্রজেক্ট সড়কের ৭নং স্লুইজ গেইটে ভাঙচুর করে রেখে যায়। খবর পেয়ে সোনাগাজী ফায়ার সার্ভিস দল ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কেভেটরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সাংসদের ভাঙচুরকৃত গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এতে সাংসদের প্রায় ৩০/৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন। এঘটনার জন্য তিনি ফেনী-২ আসনের সাংসদ এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার সমর্থকদের দায়ী করে বলেন, তাকে একরামের মত নৃশংসভাবে হত্যা করতে চেয়ছিল দুর্বৃত্তরা। এসময় তিনি ও তার কয়েকজন সমর্থক অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। তিনি আরো দাবি করেন, তার সাথে সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার সমর্থক ছাড়া অন্য কারো সাথে বিরোধ নেই। আধিপাত্য নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার সমর্থকদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। তার দাবি সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশে তার সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে পুলিশদল ঘটনাস্থলে -গিয়ে সাংসদের গাড়িটি উদ্ধার করেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × one =