মানুষ হত্যার প্রতিযোগিতায় নেমেছে পরিবহন মালিকরা

0
687

ফিটনেস বিহিন গাড়ী, প্রাপ্ত -অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অদক্ষ্য ড্রাইভার, হেলপার, পুলিশের শতভাগ অনিয়ম গোপন-প্রকাশ্য চাঁদাবাজি, বি আর টির র্দূনীতি সব মিলিয়ে বলির স্বীকার হচ্ছে একটার পর একটা তরতাজা সম্ভাবনাময় জীবন।

 

প্রথমতঃ প্রতিটি রোডে দেখা যায় ১০টি গাড়ী যদি কোন রকমের হয় বাকি গুলো ফিটনেস বিহীন ভাঙ্গা সীট দরজা জানালার কোন হদিস নাই,২ জনের সীটে ৪ জন, ড্রাইভারের পাশে ৪জনের সীটের সাথে লম্বা করে আলাদা সীট বসাবে আবার সাথে টায়ার বসিয়ে সেখানেও বসাবে ধারন ক্ষমতার বাহিরে যাত্রী। ভাড়া নিবে ডাবলের চেয়েও বেশি বৃষ্টি বা রাত হলে বা কোন কারনে রোড বন্ধ হলে তার ৩ ডবল ফায়দা লুটবে যাত্রী থেকে। ৩ ফিটের দরজায় দাড়িয়ে থাকে হেলপার । তার সাথে আলিঙ্গন করে উঠতে হয় গাড়ীতে নারী-পুরুষ সকলের। অধিকাংশ ড্রাইভার হেলপার থাকে নেশাখোর । অধিকাংশই অদক্ষ্য ড্রাইভার হেলপার এবং দন্ডনীয় শিশুশ্রম দিয়ে পরিবহন বাণিজ্য চলে । সারা রাত গাড়ীতে নেশা করবে । ধূলা-ময়লা মশা ছাড়পোকা এসব গায়ে মেখে অফিস আদালত করতে হয় ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রীর কারণে সমানে বাদুরের মত ঝুলতে থাকে নারী-পুরুষ এগুলে কোন ব্যাপারই না । আমরা তাদের নিকট জিম্মি হয়ে আছি । এসবের প্রতি পরিবহন মন্ত্রনালয়ের কোন প্রকার লক্ষনীয় পরির্বতন দেখা যায় না। রাস্তায় দাঁড়ালে দেখা যায় বাস,ট্রাক, কর্ভাডভ্যান,সিএনজি,লেগুনা,ঠেলাগাড়ী, ভ্যান,রিক্সা,অটোরিক্সা,মোটরসাইকেল কোনটারই কমতি নেই। তারপর ও আমরা সীটে বসে সুষ্ঠভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিনা। কোন যানবাহনের র্নিদিষ্ট রোড নেই নিয়ম নেই। বাস থামানোর জায়গা থাকলেও তারা সেটা তোয়াক্কা করেনা। চলন্ত গাড়ীতে দৌঁড়ে উঠতে হয় সকলের সেখানে নারী,শিশু,পুরুষ কোন র্পাথক্য নেই। তার পর থামানো গাড়ীর বামপাশ দিয়ে যেতে থাকে রিক্সা, প্রাইভেট,সিএনজি,লেগুনা,বাস কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায়না কারণ তারাতো হত্যা প্রতিযোগিতায় লেগেছে।

দ্বিতীয়ত্বঃ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন । ৬দিন টানা র্কম ব্যস্ততার পর শুক্রবার হলো পরিবারের জন্য। শপিং ঘুরাফেরা করে যান্ত্রীক জীবনের এনার্জি যোগানের দিন। অন্যেদিনের তুলনায় এদিন ও মানুষ বাহিরমূখী হয় বেশি। আবার সরকারী চাকুরীর নিয়োগ পরিক্ষা সব ঢাকাতে হওয়ায় এদিন ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ অতিরিক্ত যোগ হয় ঢাকা শহরে। অথচ শুক্রবার প্রায় গাড়ী চালক হয় অন্যে দিনের হেপার । যেখানে পরিবহন ব্যবস্থার আরও জোরদার হওয়া জরুরী সেখানে হয় তার বিপরিত। দেশের বিভিন্ন জেলার দূরদূরান্ত থেকে আগত পরিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে হলে এশে পরিক্ষায় অংশ নিতে পারছেনা পরিবহনের অব্যবস্থাপনার জন্য । জনপ্রতি পরিক্ষার্থীর ২০০০/২৫০০হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনতে হয় প্রতিটি পরিক্ষায়।একাডেমিক পাঠ শেষ করেও চাকুরির কোন নিশ্চয়তা নেই। উন্নয়নের অপ্রতিরৌদ্ধ অগ্রযাত্রার বাংলাদেশে শিক্ষীত বেকারের সংখ্যা বেশি কর্ম সংস্থান সল্পতা অনেক । প্রতি মাসে ৩/৪টি পরিক্ষা দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উচ্চ শিক্ষিত বেকার ছাত্র-ছাত্রীরা। নিয়োগ পরিক্ষাগুলো বিভাগ ভিত্তিক হলে হয়ত হয়রানি কিছুটা কম হত সময়,অর্থ,ঝুকি এসবের দ্বায়ভার কে নিবে ? সরকার নকি পরিবহন মালিক ?

তৃতীয়তঃ ট্রফিক পুলিশ যেখানে গাড়ী নিয়ন্ত্রণ করবে সেখানে তারা যেখানে সেখানে যখন তখন গাড়ী থামিয়ে করছে চাঁদাবাজি । দিনের বেলায়তো আছেই রাত ১০টার পর তাদেরঁ চাঁদাবাজি ছাড়া কোন কাজ থাকে না। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট অনাকাংখিত জীবন নাশ। পুলিশ আর পরিবহন মালিক যেন এক পরিবার একে অপরের পরিপূরক। পরিবহন মালিক এবং পুলিশের হত্যা প্রতিযোগিতার শেষ কবে হবে? রাজিব,রোজিনার মত আর কত অনাকাংখিত তরতাজা জীবন ঝড়ে যাবে আমাদের মাঝ থেকে ? আর কত মায়ের বুক খালি হলে বন্ধ হবে পুলিশ আর পরিবহণ মালিকের টাকার পাহাড় গড়ার নেশা ? সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে যেখানে মাথা উঁচু করে ঘুরে দাড়াঁনোর সময় সেখানে পিছনে পড়ে থাকতে হবে শত বছর। ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নই থেকে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − three =