ডিম বিক্রেতা থেকে কোটি পতি কে এই হাজী রব

0
1503

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর খিলক্ষেত থানার তালেরটেক এলাকার একসময় ফেরিকরে ডিম বিক্রি করতো জামাত নেতা রব। কালের বিবর্তনে সে হয়ে যায় হাজী রব। কে এই রব ? অপরাধ বিচিত্রার দির্ঘ দিনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আশে রবের ডিম বিক্রেতা থেকে কোটি পতি থেকে শত পতি কাহিনী। রব ভোলা এলাকায় এক সময় মাদ্রাসার শিক্ষক ছিল, যে আয় রোজগার ছিল তাতে তার সংসার চলতো না। বাধ্য হয়ে ১৯৮৪ সালে এক কাপড়ে ঢাকার খিলক্ষেত তালের টেক এলাকায় আশে, একটি টিনসেড বাসা ভাড়া নিয়ে রব শুরু করে তার জীবন জিবীকা। কোন কাজ না পেয়ে সে শুরু করে ডিম সিদ্দ করে ফেরিকরে বিক্রি করা।

 

এই ডিম বিক্রি তাকে নিয়ে আশে হজ্ব জালিয়াতি করে কি ভাবে হাজ্বী পাঠাতে হয়। শুরু হয় প্রতারণা, শুরু হয় রবের উত্থান। বিভিন্ন হাজীর টাকা আত্মসাত করে নিজের আখের গোছাতে শুরু করে রব। বেশ কয়েক বার প্রতারিত হাজিদের দ্বারা তার বাস ভবনে হামলা হয়। উক্ত বিষয়ে এলাকা বাসির সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। রব তার সৌদি প্রবাসি বড় মেয়ের জামাতার নিকট থেকে ৭০/৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে তালের টেকে বাড়ী, গাড়ী করে রব। যাহা তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নিকট থেকে জানা যায়। ২০০১ সালে রবের পাঠানো হাজ্বীদের মধ্যে থেকে চুরির দায়ে ৪জন হাজ্বীর হাত কেটেদেয় সৌদি সরকার, যাহা বিভিন্ন আন্তর্জাাতিক গনমাধ্যমে সি.এন.এন, বি.বি.সি সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে প্রাকাশ হয়। রবের ঘনিষ্ঠ জন জানান সে যে সকল হাজী পাঠাতো তারা ছিল চোর, ছিনতাই, মলমপার্টি সহ বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী। শুধু হজ্ব জালিয়াতি না ভূমি দস্যুতা, ভুমি দখল, নারী, মাদক কেলেংকারী সহ নান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রবের বাড়ীতে ফ্ল্যাট বানিয়ে তা বিভিন্ন লোকের নিকট কোটি কোটি টাকা বিক্রি করলেও কাউকে সে ফ্ল্যাট বুজিয়ে না দিয়ে উল্টো তাদের নামে মামলা দিয়ে সায়েস্তা করার চেষ্টা করছে। তালের টেক এখন রব আতংক, কখন সে যেন কার সর্বনাশ করে। তার অবৈধ টাকার জোরে কেহ ভয়ে মুখ খুলতে চায় না কারন মামলাবাজ রব যদি মামলায় ফাসায়। এলাকার রিক্সাচালক করিমকে রব সম্পর্কে জানতে চাইলে বলে ও মারাগেলে জানাজা পড়ার লোক পাবে না। সিএনজি চালক সগির বলে মানুষ এতো খারাপ হতে পারে তা আমার জানা ছিল না, এমন কোন অপকর্ম নাই যা সে করেনি। গত ১০ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখে রবের প্রতি হিসংসার শিকার হন আইরিন ইস্টিলের ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন, রাজন ও জুয়েল। তার পাশের দোকানের ব্যবসায়ী আজাদকে রড় চুরির মামলায় ফাসায়। খিলক্ষেত থানার মামলা নং-০৭ তাং- ১০/০৩/২০১৮ইং এব্যাপারে আজাদ এই প্রতিবেদককে জানান প্রতিদিনকার মতো আমি আমার দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যাই। সকালে আমার দোকান খুলে দেখতে পাই দক্ষিন পার্শ্বের দেয়ালে একটা ভাঙ্গা গর্ত আর তার মধ্যে এক বান্ডিল রড আমার দোকানের দিকে ডোকানো। পরবর্তিতে জানতে পারি রব আমার নামে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা রড চুরির মামলা করেছে। আসলে আমি একজন সহজ-সরল ব্যবসায়ী আমি এত ঘোরপ্যাাচ বুজিনা আমাকে ও আমার সাথে যাদেরকে মামলার আসামি করা হয়েছে শুধু হয়রানির জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। রবের দোকানের সাবেক ম্যানেজার দুলাল চাকরি করতে চায়নি বলে দুলাল ও তার কলেজ পড়–য়া ছেলেকে ২০ টন রড চুরির মামলা দেয় রব। রব তার অবৈধ টাকার জোরে যখন যাকে খুশি মামলায় ফাসাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে জামাতের রাজনীতির সম্পিক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে সে নাকি জামাতের বড় ডোনার। এব্যাপারে রবের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। মামলার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জানান যথাযথ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রদান করা হবে। রবের বিরুদ্ধে ফালুর আড়াই কাঠা জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে যার বর্তমান বাজার মূল্য ২-৩ কোটি টাকা। উক্ত জমির ভুয়া দাতা সাজিয়ে রব নিজের নামে রেজিষ্ট্রিকরে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে রবের তালের টেক এলাকায় ৩-৪টি অত্যাধুনিক বাড়ি রয়েছে। কোটি পতি থেকে শত পতি তার অবৈধ সম্পদের দাপটে অতিষ্ট এলাকাবাসি। এলাকাবাসির দাবি রবের অবৈধ সম্পদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধমে শাস্তির ব্যবস্থা করা। হাজ্বী রব সম্পর্কে কারো কাছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য থাকলে আমাদেরকে জানান, তথ্য দাতার নাম ঠিকানা গোপন রাখা হবে। চোখ রাখুন অপরাধ বিচিত্রার প্রতি সংখ্যায়। হাজ্বী রবের অপকর্ম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন থাকছে প্রতি সংখ্যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 18 =