চট্টগ্রামে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌঃ ভূয়াগিরির কাহিনী মামলা করে ভাতা আদায় ও শাস্তি নির্দেশ নিশ্চিত করকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর নির্দেশ বিভিন্ন গনমাধ্যমে অপকর্মের চিত্র

0
1086

অপরাধ বিচিত্রাঃ
চট্টগ্রামে একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অপকর্মের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী এক নির্দেশ পত্রে সেলিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভাতা আত্বসাত এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা সহ সেলিম চৌধুরীর নেয়া ভাতা আদায় এবং শাস্তি নিশ্চিত করে মন্ত্রী মহোদয়কে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আপাদমস্তক একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রতারনার ধারাবাুহিক কাহিনী তুলে ধরা হচ্ছে অপরাধ বিচিত্রার কাছে আসা অভিযোগ পত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে।এলাকায় পরিচিত মোঃ সেলিম চৌঃ (আঠা বাবুল) পিতাঃ মৃত আবদুর রহিম চৌঃ ৯নং রহমত গঞ্জ লেইন, জাহান ভিলা, থানা-কতোয়ালী, চট্টগ্রাম। ০১৭৮৮৪৩৫৫০৩/ ০১৯২৪২৭৮৪২. স্ত্রীঃ সানিয়া আলম শেলী, স্বামী-মোঃ সেলিম চৌঃ (আঠা বাবুল) ঠিকানা-ঐ ০১৭৫৯০৯৬৬৬২।

উক্ত সেলিম চৌঃ (আঠা বাবুল) যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তান ছিলেন স্বপরিবারে। যুদ্ধের পর দেশে ফিরে আসেন এবং নিজেকে মুক্তি যোদ্ধা বলে জাহির করতে থাকেন। বলে বেড়াতে থাকেন উনি একজন বিশিষ্ট মুক্তি যোদ্ধা ও রণাঙ্গনের সৈনিক। বাস্তবে উনি একটি শহীদ পরিবারে নাম-শহীদ ওয়াজেদ মিয়া, পিতাঃ মৃত একরাম রসুল, গ্রামঃ সৈয়দ নগর, পোঃ চান্দার হাট, থানা বোয়াল খালী চট্টগ্রাম। মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং ৫৭৯২৯। এই সনদ নং জাল করে গত ৬ বৎসর যাবৎ সম্মানী ভাঁতা ভোগ করে আসছে। যাহা ডিসি, ডিভিশনাল কমিশনার চট্টগ্রাম কর্তৃক তদন্ত টিমে প্রমাণিত। এই ভূয়াগিরির কাহিনী গত দৈনিক পত্রিকা চট্টগ্রাম বীর মঞ্চ ১০/১২/২০১৭ ইং, দৈনিক র্পূবকোন পত্রিকায় ০/১২/২০১৭ইং, দৈনিক জনকন্ঠ ২৩/১২/২০১৭ইং, অনলাইন গ্লোবাল ভিশন ২৪ ডটকম. /১২ /২০১৭, বাংলা নিউজ ২৪ ২১.১২.২০১৭, ব্রেকিংনিউজ.বিডি২১/১২/২০১৭, পাঠক নিউজ ২১/১২/২০১৭, এবং পরিশেষে মন্ত্রনালয় কর্তৃক শাস্তি দেওয়ার র্নিদেশ নামা দৈনিক চট্টগ্রাম বীরমঞ্চ ১২/৪/২০১৮ইং, দৈনিক জনকন্ঠ ১৪/৪/২০১৮ইং প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ হয়েছে। অথচ উক্ত শহীদ ওয়াজেদ এর পরিবার এই র্পযন্ত সরকারি ভাবে কোন সম্নানী ভাতা পায়নি। ভূয়া মুক্তি যোদ্ধা সেলিমের কারণে প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধা শহীদ ওয়াজেদ মিয়া তার প্রাপ্য সম্মানী ভাতা থেকে বঞ্চিত।
এতে সে ক্ষান্ত হয়নি আরেক জন শহীদ মুসা খাঁন, পিঃ মৃত ফোরক আহমেদ, গ্রামঃ মোহাম্মদ পুর, পোঃ রমজান আলীর হাট, থানা-রাউজান চট্টগ্রাম। এর নামে সরকার কর্তৃক শহীদ পরিবারের নামে বরাদ্দকৃত জায়গা ভুয়া সনদধারী মোঃ সেলিম চৌঃ ও তার স্ত্রী সানিয়া আলম শেলি জাল আম মোক্তার বানিয়ে উক্ত সম্পতি বাজারে বিক্রির অপচেষ্টায় আছেন। উক্ত জায়গা দেখিয়ে নিম্ন বর্নিত ব্যবসায়িদের থেকে ২ কোটি টাকার উপরে আতœসাৎ করেছেন। ১-মুসা চৌঃ ফোন-০১৭১৩১২০৮৩১, ২-মদন নন্দি, ৩-রেয়াজ ফোন-০১৭১৭১২১৪১১ , ৪-সাহাবউদ্দিন ডেকোরেটার, ৫-মোঃ ইসমাইল-০১৮১৮১৭৮৩৯১, ৬-এয়াকুব ও মৃত আহাম্মদ হোসেন-০১৮১১২২৯৭১৬, ৭-মোঃ কালাম ও মোঃ ইউসুপ খাঁন-০১৮১৯৬১১২৪৪, ৮-বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আগ্রাবাদ ব্রাঞ্চ চট্টগ্রাম। ঐ ব্যবসায়ীদের জায়গা রেজিঃ দিতে না পারায় উক্ত ব্যবসায়ীরা জায়গা উদ্ধারের চেষ্টায় নিম্ন লিখিত মামলা দায়ের করেন ফলে সে শাস্তি ভোগ করে। ১-৪৩০/০৬ সি আর মামলা, ২-১১৮২/১১সিআর মামলা, ৩- ১৩৯৭/১০সি আর মামলা। এবং ৪২০/৪০৬ বিচারাধীন আছে। র্বতমানে ভূয়া মুক্তি যোদ্ধা ও তার স্ত্রী ২ শহীদ পরিবারের প্রাপ্য সম্মানী থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজেরা ভোগ দখল করে শহীদ পরিবারকে বঞ্চিত করে আসছে। যাহা তদন্ত রিপোটে বেড়িয়ে আসে। সূত্রঃ বিভাগীয় কমিশনার অফিস, চট্টগ্রাম (উন্নয়ন শাখা)-এর ০৪ জানুয়ারী ২০১৮ তারিখের ০৫.৪২.০০০০.০৩১.২৩. ০০১.১৭-২৯ নম্বর-৪৮.০০.০০০০.০০২.০৩১.০০৫.১৫.১১। জারী করে শাস্তির হুকুম নামা ডিসি ও ডিভিশনাল কমিশনারের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
একজন মুক্তি যোদ্ধার আতœজীবনী
মোঃ মহিউদ্দীন চৌঃ, পিঃ মৃত মফিজুর রহমান চৌঃ, গ্রামঃ ইমাম নগর, পোঃ ভাটিয়রী, থানা সিতাকুন্ড চট্টগ্রাম। মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। ট্রেনিং সেন্টারঃ ওমপি নগর (ভ্রাবো কোম্পানী। আগর তলা, ত্রিপুরা, ভারত।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সনদ (র্কনেল ওসমানীর সইকৃত) ৫৯৬১৪, বাংলাদেশ সরকার ইসুকৃত সাময়িক সনদ নং ম ৪৬৫৮১, লালমুক্তি নং ০২০৩০৫০৪১৯, গেজেট নং ৬১৬৯, ভারতীয় নং ২০২৭১, ভাতা বউ নং ৫৮৮। তিনি যুদ্ধ চলাকালীন সময় ১নং সেক্টরে কেপটেন মোঃ রফিকুল ইসলাম (সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) এর অধিনে চট্টগ্রাম শহরে গেরিলা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন এবং বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ (ডিমোলেশান এক্সর্পাট) হিসাবে সক্রীয় ছিলেন। ১৬ বৎসর বয়সে জীবন যৌবন বাজী রেখে দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত রক্ষার স্বপ্নে ঝাপিয়ে পরেন যুদ্ধে। ২ বার চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর খাদ্যপন্য ও অস্ত্র বহনকৃত জাহাজে বিস্ফোরক সংযোজন করে বিস্ফোরণ ঘটান। মিশনে চট্টগ্রামের ১১জন বিশিষ্ট ৯৬ নং গেরিলা গ্রুপ তিনি পরিচালনা করেন। এভাবে তিনি আরও অনেক কঠিন কঠিন মিশন পরিচালনা করে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখেন। অবশেষে ছিনিয়ে আসলো বাংলার মাটিতে স্বাধীনতার লাল র্সূয। যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে সব কিছু দেখেছেন বলে আজও শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করেন সেই ভয়াবহ বর্বরতা নিষ্ঠুরতা ৩০ লক্ষ শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আজকের স¦াধীনতা। তিনি মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় স্বপক্ষের এক বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। বর্তমান সরকারের মুক্তি যুদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার তৎপরতায় উনি গর্বিত। জীবনের শেষান্তেও যেন এ সম্মান বহাল থাকে এটাই উনার অন্তিম চাওয়া।

Print Friendly, PDF & Email