লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দুর্বত্তের দেয়া আগুনে পুড়ে মারাগেছে এক কৃষকের পাচঁ গরু। এসময় গরু রাখার টিনসেড ঘরটিও পুড়ে যায়। এতে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের পূর্ব-পশ্চিম চরকলাকোপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পূর্ব শক্রতার জের ঘটিয়েছে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ্যরা।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে ইউনুস ব্যাপারী গরুগুলো ঘরে রেখে পাশের ঘরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুমাতে যান। হঠাৎ রাত ২টার দিকে আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্যরা জেগে যান। তারা গরুর ঘরে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন। তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাঁচটি গরু ও ঘরটি পুড়ে যায়।
এদিকে ঘটনা শোনার পর শত-শত মানুষ দেখতে এলেও তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয় দুর্বত্তের কর্মকান্ডে। অপরদিকে এমন খবরে পেয়ে শুক্রবার (১৮ মে) দুপুরে ঘটনাস্থলে যান রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদসহ চর বাদামের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম ও সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ মোল্লাহ্। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক পরিবারকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
ক্ষতিগ্রস্থ্য ইউনুসের ছেলে কবির হোসেন জানান,তাদের শেষ সম্বল ছিল কোনো জমিজামা নয়, চারটি বড় গরুও একটি বাচুরই ছিল তাদের পরিবারের সম্বল। পূর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে পেট্রল ঢেলে পাশের বাড়ির জয়নাল হাওলাদার ও তাদের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে পতিবেশীর এ অভিযোগ অস্বিকার করেছে জয়নাল হাওলাদার। তিনি জানান,অন্যায় ভাবে তাকে ফাসাতে এ ঘটনা রটাচ্ছেন। তবে তাদের অ-সাবধনায় ঘটতে পারে বলে ধারনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রামগতি থানার ওসি এটি,এম,আরিচুল হক জানান,আগুনে পুড়ে গরু মৃত্যুর ঘটনাটি অমানবিক।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এটি পরিকল্পিত নাশকতা কিনা-তা তদন্তে কাজ হচ্ছে। সত্যাতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।