সংবাদাতাঃ
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার সর্ববত্র মেসার্স এম আর মার্কেটিং লিঃ নামের একটি প্রতারক চক্র প্রায় মাস ব্যাপী প্রতারণার মাধ্যমে নিন্মমানের পণ্যসামগ্রী দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা এম.আর মার্কেটিং গ্রুপ। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করার অভিনব কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে স্ক্যাচ কার্ড। যে কার্ড ঘষলে পাওয়া যাচ্ছে জগ, গ্লাস, প্লাস্টিকের চেয়ার, ফ্লাক্স, বৈদ্যুতিক ফ্যান, মোবাইল ফোন, ফ্রিজ,টিভি,প্রেসার কুকার,পানির ফিল্টারসহ ২০/২৫ ধরনের বিভিন্ন নিম্নমানের পণ্য সামগ্রী।যা বিক্রয় প্রতিনিধিরা নিজেরাও জানেনা কি ভাবে সেটিং করতে হয়। প্রথমে গ্রাহকরা ১০০ টাকার একটি স্ক্যাচ কার্ড কিনে ঘষে যে পণ্যটি পাবে, সেই পণ্যটি আবার এম.আর গ্রুপের অফিসের কাছে ১৬০০ টাকা জমা দিয়ে ওই পণ্যটি ছাড়াতে হয়। তাতে করে গ্রাহকরা ১৬০০ ও স্ক্যাচ কার্ড ক্রয়বাবদ ১০০ টাকা অর্থাৎ মোট ১৭০০ টাকায় ৭শ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০টাকা মালামাল পাওয়া যাচ্ছে বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেন।
৫/৭ জন গ্রাহক মাত্র কিছুটা মানসম্পন্ন পণ্য পেলেও, শতকরা ৯০ ভাগ গ্রাহকই নিন্মমানের মালামাল পাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়া জমা দেওয়া টাকার অর্ধেক মূল্যমানেরও পণ্য পাচ্ছে না বলে জানান অনেকে। এম.আর গ্রুপের প্রায় ৮/১০ জন বিক্রেতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে এগুলো সহজ সরল ও বিশেষকরে নারীদের আকৃষ্ট করে ওই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরের মানুষ সচেতন বিধায় শহরে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন না। কারণ,তাহাদের এ প্রতারণা খুব সহজেই ধরা পড়ার ভয়ে। এ ব্যাপারে এম.আর গ্রুপের দশমিনা
এলাকার ম্যানেজার, মোঃ হাসিব এ প্রতিনিধিকে বলেন, এলইডি টিভিসহ আপাদত বেশ কয়েকটি উন্নত মানের পন্য সামগ্রী সীমিত থাকায় শহরের মধ্যে কোন প্রচার প্রচারণা কিংবা স্ক্যাচ কার্ড বিক্রয় করা হচ্ছে না। প্রতারণার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, আপনারাইতো বুঝেন, দের হাজার কিংবা দু’ হাজার টাকায় কতটা মান সম্মত প্রডাক্টইবা পাওয়া যাবে? আর আমরা কখনই কাহাকেও বলিনা, এগুলো খুবই উন্নতমানের। তবে দামের তুলনায় আমাদের পন্যসামগ্রীর গুনগত মান বেশ ভাল।