জাকির সিকদার:: ঝালকাঠি জেলায় রাজাপুর উপজেলার উদ্ভাবনী উপায়ে বাল্য বিবাহ নিরোধে মাঠ পর্যায়ে করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট ,প্রধান মন্ত্রীর কার্যলয ,ঢাকা এর সার্বিক সহযোগিতায় ২৮ মে সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাল্য বিবাহ নিরোধে মাঠ পর্যায়ে করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠির অতিরিক্ত (রাজস্ব) জেলা প্রসাশক জনাব,শহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান মনির,থানা পরিদর্শক মো:শামসুল আরেফিন। সাতুরিয়া ইউপি চেযারম্যান মো:সিদ্দিকুর রহমান, মঠবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদার,বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো:শাহ-আলম মন্টু ,শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক কামাল।
এ ছাড়া উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডের পুরুষ ও মহিলা ইউপি সদস্য,কাজী,পুরোহিদ এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা বেগম পারুল।প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপি বাল্য বিবাহ নিরোধে মাঠ পর্যায়ে করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষন কর্মশালা বাল্য বিবাহ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়। অতিরিক্ত(রাজস্ব) জেলা প্রসাশক জনাব,শহিদুল ইসলাম বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে সকলের প্রতি আহ্ববান জানান এবং প্রতিটি মসজিদে শুত্রুবারে জুম্মার নামাজের সময় বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে যেন আলোচনা করা হয় সে জন্য ইমামদের প্রতি আহব্বান জানান। রেজিস্টার কৃত কাজীদের সকল প্রকার বাল্য বিবাহ থেকে দূরে থাকতে বলেন। আর যদি কেউ টাকার লোভে দূরে না থাকলে যে কোন জনপ্রতিনিধিও ওই কাজীদের নামে মামলা করে দিতে পারবে।এবং মামলায় কাজীদের ২ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের কারাবাস ও হতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা বেগম পারুল সকলকে বাল্য বিবাহ থেকে দুরে থাকতে আহব্বান জানান এবং তিনি বাল্য বিবাহের কুফল সর্ম্পকে সকলের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন।