মো: আতোয়ার রহমান মনির,লক্ষ্মীপুর
প্রতি বছরের মত এবার জমে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের ঈদ বাজারগুলো। বড় বড় বিপনী বিতানগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছে। এছাড়া ঈদের বাকী কয়েকদিন থাকলেও সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা বেতন বোনাস পেলে আরো বেচাকেনা ভালো হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের ভীরে মুখর বিপনী বিতানগুলো নারীদের পাশাপাশি পুরুষেরাও ভিন্ন ফ্যাশনের পোশাক কিনতে ছুটছে মার্কেটে মার্কেটে, প্রতিটি মার্কেটে রয়েছে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভীড়।
এদিকে যত দামি পোশাক ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ করার জন্য কে কার আগে সুন্দর পোশাকে নিজেকে উপস্থাপন করবে এ প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত ছোট ছোট বাচ্ছারা। এ দিকে থেমে নেই তরুণীরাও পছন্দের পোশাকের সাথে মিলিয়ে কসমেটিক্স জুতা কিনতে ভুল করছেনা তারা।
তবে বরাবরের মতো দাম নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। অন্য বছরের চেয়ে এবার ভারতীয় পোশাকের চেয়ে দেশীয় পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি বলে দাবী করেন ব্যবসায়ীরা। তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারাও।
পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেছেন, নির্বিগ্নে ও নিরাপদে মার্কেটে যেন কেনাকাটা করতে পারে সে জন্য পুলিশের ২৬টি টিম নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জানাগেছে, লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলা ও চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকাসহ জেলা শহরের পৌর বিপনী বিতান, পৌর সুপার মার্কেট. মসজিদ মার্কেট, আউট লুক,মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,বুটিক হাউজ,জিয়া কমপ্লেক্স, গাজী কমপ্লেক্স, সোহাগ, সুচয়ন ও অঙ্গশোভাসহ বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে উপছে পড়া ভীড়। বাহারী ডিজাইনের পন্যগুলো ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা অনেক ভাল। এছাড়া এবারের ঈদে দেশীয় লেহেংগা,মেছাককালি,থ্রিপিজসহ কাতান,জামদানি ও টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় শাড়ী ও থ্রিপিজ ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করছে।
এদিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বড় বড় ঈদের বিপনী বিতানগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছে। ছোট ছোট বাচ্ছারা ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ করার জন্য কে কার আগে সুন্দর পোশাকে নিজকে উপস্থাপন করবে এ প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত রয়েছেন। সেটা হোকনা যত দামি পোশাক। এদিকে থেমে নেই তরুণীরা পছন্দের পোশাকের সাথে মিলিয়ে কসমেটিক্স কিনতে ভুল করছেনা মেয়েরা ।
সদর উপজেলার হাটবাজার মার্কেটের ক্রেতা নুর নাহার বেগম, সাজু আক্তার,রুমি বেগম,মহসিন মিয়া,মোকতার হোসেন,জুনায়েদ জানান, ঈদ মানি আনন্দ ঈদ মানি খুশি, গত বছরের তুলনায় এবার কালেকশান ভালো। তবে দামও বেশী। এবার পণ্যের কোয়ালিটি তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন। দাম বেশির ও ক্রেতাদের উপছে পড়া ভীড়ের কারনে সাধারন ক্রেতারা ঈদের কেনা কাটা করতে হিমশিম খেতে হয়।
বিক্রেতার মিঠু জানান,লক্ষ্মীপুরে ঈদের বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। এছাড়া ঈদের বাকী কয়েকদিন থাকলেও সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা বেতন বোনাস পেলে আরো বেচাকেনা ভালো হবে বলে। এবার ভারতীয় পোশাকের চেয়ে দেশীয় পোশাকের চাহিদা অনেক বেশি।এছাড়া লেংগা,মেছাককালি, থ্রিপিজ,ইন্ডিয়ান শাড়ী ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করছে।