বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিল্টন দত্তের নানা অপকর্ম

0
1087

ইগল টিমঃ কথায় বলে চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। গণপ্রজানন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যতে বলেছেন দুর্নীতির আওতায় নেতা-নেত্রী-কর্মী বা মন্ত্রী আমলা সহ প্রশাসনের যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তবুও টনক নড়েনী অসাধু কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণদের। তেমনী বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিলটন দত্ত প্রধানমন্ত্রীর কথা অমান্য করে ধরাকে সরা জ্ঞান করে নানা ধরণের অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত বলে জানান ভুক্তভোগি জনগণ ও স্থানীয় সংবাদ কর্মীবৃন্দ। এখানে উল্লেখ থাকে যে, পুলিশ হচ্ছে জনসাধারণের ভরসা। কিছু পুলিশ আছে ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। বনানী ফাঁড়ির তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ফাঁড়ির ইনচার্জ মিল্টন দত্তের কাছে হুমকির শিকার হন সাংবাদিক। চোরাইভাবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন ফাঁড়ির ইনচার্জ মিল্টন দত্তর শেল্টারে চলছে বলে ক্যাশিয়ার সাদেক জানায়। গত ৫ জুন ইং রাত আনুমানিক ৮টা ৪৩ মিনিটে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে বেলা ১১টার মধ্যে দেখার না করলে তোকে যে কিভাবে মামলা দিব, তুই তা কল্পনা করতেই পারবি না। মনে রাখিস আমি কিন্তু পুলিশ। আমি চাইলে সব পারি।

একজন সাংবাদিককে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমার ভালই জানা আছে। এর পরের দিন বেলা ২টা ২ মিনিটে মোজাম্মেল ফোন দিয়ে বলে আমার নাম মোজাম্মেল। আপনি জরুরী স্যারের সাথে দেখা করেন। এভাবেই অপরাধ বিচিত্রার প্রতিনিধিকে বিভিন্ন মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে হুমকি অব্যাহত রেখেছেন ফাঁড়ির ইনচার্জ মিল্টন দত্ত। এছাড়াও ইনচার্জ মিল্টন দত্ত বলেন আমার নামে কোনো রকম রিপোর্ট প্রকাশের চেষ্টা করিস তাহলে তোর ক্ষতি হবে মনে রাখিস! তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ফাঁড়ি ইনচার্জ মিল্টন দত্তের ক্যাশিয়ার ছাদেকের ৪০-৫০ জন হকার আছে। এসব হকারদের অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবত সরকারী গ্যাস ও বিদ্যুত এর সংযোগ দিয়ে নিজে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। তেমনই ক্যাশিয়ার ছাদেক প্রতি মাসে ফাঁড়ির ইনচার্জকে ২০ হাজার টাকা মাসোহারা দেয় বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদেক বলেন ভাই আমিতো একা খাইনা। এই টাকা ভাগাভাগি হয়। পুলিশ ফাঁড়ির পাশে পুলিশ বক্স নামে যে রুমটি রয়েছে সেই রুমের ভিতরের চোরাই গ্যাসের লাইন ও বিদ্যুতের সংযুক্ত। সেখানে আছে ৮/৯ টি ফ্রিজ যার ভাড়া হিসাবে মিল্টন দত্তকে সালামি দিতে হয়। এখানেই শেষ নয়। বনানী পোস্ট অফিস, রোড নং ১১, রোড নং ২৩, বনানী কবরস্থান, ইকবাল টাওয়ার, সৈনিক ক্লাব মোড় এবং বনানী নিকেতন স্কুলের আশেপাশে সব মিলিয়ে প্রায় ৩শ’ থেকে ৩শ’ ৫০টির মতো দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে ৩শ’ থেকে ৩শ’ ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এমনকি কিছু কিছু দোকান থেকে ৬শ’ থেকে ৫শ’ টাকা করে নিয়ে থাকেন। ইব্রাহিম ও হাফেজ নামের ২ ব্যক্তি টাকা তোলে, আবার ডিসি মহোদয় আসলেই পরিষ্কার দেখাতে হয়। এভাবেই ঠান্ডা মাথায় চলছে তার চাঁদাবাজি কোন ব্যক্তি একদিন চাঁদা না দিলে তাকে ফাঁড়িতে এনে আটক করে রাখেন। মামলার ভয় দেখিয়ে সাপ্তাহে কত দিবে এই বলে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়। পুলিশ বলেই কথা। এভাবে নিজের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ-লক্ষ টাকা। সৈনিক ক্লাব সিনামা হলে সন্ধা হতে চলে আসে পতিতা নেত্রী আখি। তার সাথে আরও আছে সুমি, কাজল, রেখা ও আরো অনেকে। সেখান থেকেও সাপ্তাহিক টাকা আসে এ.এস.আই মোজাম্মেল এর মাধ্যমে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে মোজাম্মেলের সাথে পতিতাদের খুব দহরম মহরম। পতিতারা কোন রকম ঝামেলায় পড়লে মোজাম্মেলকে মিস কল দিলে সাথে সাথে চলে আসেন এবং কোনো রকম ন্যায় অন্যায় না বুঝেই খদ্দেরকে ধরে নিয়ে ফাঁড়িতে আটক করে রাখে এবং ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ যেন এক অভিনব কায়দা। ফাঁড়ির সামনে বাগানে রাত ১১টার পর চলে পতিতার রমরম ব্যবসা। এই বিষয় নিয়ে অপরাধ বিচিত্রা’র তদন্ত চলছে। চোখ রাখুন অপরাধ বিচিত্রার আগামী সংখ্যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

6 − 1 =