বিমানবন্দর সড়কে তিন বাসের পাল্লাপাল্লিতে প্রাণ যায় শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া ঘাতক বাস চালকসহ পাল্লাপাল্লি করা জাবালে নূর পরিবহনের তিন চালকের কারোরই ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলো না। তিন গাড়ির মধ্যে দুটি গাড়ির কোনো ধরনের কাগজপত্রও নেই। মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) গ্রেফতার তিন বাসের চালক ও দুই সহকারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এসব কথা জানায় র্যাব।
ঘটনার দিন রোববার (২৯ জুলাই) রাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিন চালক ও দুই হেলপারকে গ্রেফতার করে র্যাব-১। এরমধ্যে ঘাতক বাসের (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯২৯৭) চালক মো. মাসুম বিল্লাহকে (৩০) বরগুনা থেকে এবং বাসের হেলপার মো. এনায়েত (৩৮), ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৬৫৭ বাসের ড্রাইভার মো. জুবায়ের (৩৬), ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৫৮০ বাসের ড্রাইভার মো. সোহাগ (৩৫) ও হেলপার রিপনকে (৩২) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) সারওয়ার বিন কাশেম জানান, তিন চালকের কারোই বাস চালানোর লাইসেন্স নেই। তাদের তিনজনেরই হালকা যান চালানোর লাইসেন্স ছিলো, যা দিয়ে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস চালানো যায়। কিন্তু আইন না মেনে সেই লাইসেন্স দিয়েই তারা বাস চালিয়ে আসছিলেন। এছাড়া, তিনটি বাসের মধ্যে দুইটি বাসেরই কোনো কাগজপত্র ছিলো না বলেও জানান সারওয়ার বিন কাশেম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতের র্যাব আরো জানায়, ঘটনার দিন দুপুরে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারে জাবালে নূরের দুটি বাস নিয়ে পাল্লাপাল্লি শুরু করেন চালক মাসুম ও সোহাগ। কিন্তু ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় আরেকটি জাবালে নূর বাস দেখতে পেয়ে ওই বাসটিকে বাম পাশ দিয়ে ওভারটেক করার চেষ্টা করেন চালক মাসুম। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ফুটপাতে তুলে দেন মাসুম। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতার পাঁচ জনকেই ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুরে হোটেল র্যাডিসনের সামনে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার ঘেঁষে রাস্তার বাঁ-পাশে দাঁড়ানো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একদল শিক্ষার্থীর উপর উঠে যায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস। এতে শিক্ষার্থী আবদুল করিম ও দিয়া খানম মিম নিহত হয়। আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।