সরকারী টাকা আত্মসাতের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে সমিতির সভাপতি কর্তৃক শিক্ষকদের নিটক থেকে চাঁদা তুলে বরগুনার দুই সাংবাদিককে খুন ও ফের মিথ্যা মামলা দায়েরের ষড়যন্ত ফাস

0
900

স্টাফ রিপোর্টারঃ দৈনিক আলোর জগত ও ডেইলী ডিটেকটিভ নিউজ পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, ঢাকা প্রেস ক্লাব সদস্য, বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাবের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক,সচেতন নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশ এর সহ প্রচার সম্পাদক, দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্হা টিআইবি’র সচেতন নাগরিক কমিটি সনাক বরগুনার সাবেক ইয়েস গ্রুপ দলনেতা আবুল হাসান বেল্লাল এবং ডেইলী ডিটেকটিভ নিউজ ও ক্রাইম পেট্রোল বিডি’র বেতাগী, বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকা প্রেস ক্লাব সদস্য ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাবের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকারী সদস্য, টিআইবি’র সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) বরগুনার ইয়েস গ্রুপ সদস্য ও এলাকের প্যারালিগ্যাল এ্যাডভাইজার মোঃ নিয়ামুল হাসান নিয়াজের বিরুদ্ধে সরকারী টাকা আত্মসাতের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে সমিতির সভাপতি কর্তৃক শিক্ষকদের নিটক থেকে চাঁদা তুলে  খুন ও ফের মিথ্যা মামলা দায়েরের ষড়যন্ত ফাস হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষের নিকট সরকারী টাকা আত্মসাতের দায়েরকৃ অভিযোগ আপোষ সুত্রে তুলে না আনায়  ফের মিথ্যা মামলা দায়ের পূবর্ক হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। মোঃ আব্দুল আলিম লিটন,প্রধান শিক্ষক, কোরক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সভাপতি শিক্ষক সমিতি,বরগুনা সদর উপজেলা।

মোঃ জাকির হোসেন প্রধান শিক্ষক,দক্ষিন মনসাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।  মোঃ আব্দুল আজিজ ফরাজী, প্রধান শিক্ষক মধ্য কুমড়া খালী কেসাতঘর পল্লীমঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যাল।  বিকাশ রায়,প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) চালতাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।  মোঃ আসলাম হোসেন প্রধান শিক্ষক( ভারপ্রাপ্ত) পাতাকাটা দরবার শরিফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।  মোসাঃ রাশিদা আক্তার প্রধান শিক্ষক, ছোট লবনগোলা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।  মোসাঃ শিউলী আক্তার পপি, প্রধান শিক্ষক ৭১ নং মধ্য সাহেবের হাওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।  মোসাঃ নিগাত সুলতানা প্রধান শিক্ষক,(ভারপ্রাপ্ত)২৮ নং উত্তর কুমড়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বরগুনার প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ,অগ্রনী ব্যাংক বরগুনা শাখার কয়েকজন কর্মকর্তাসহ অন্যন্যাদের  বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।  আবুল হাসান বেল্লাল বলেন,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুয়া শিক্ষার্থীদের নামে উপবৃত্তি এবং স্লিপ গ্র্যান্টের অর্থ  উত্তোলন পূর্বক আত্মসাতের ঘটনায় আমার  দায়েরকৃত অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে আপোষ সুত্রে  তুলে আনার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৩টি চাঁদাদাবীর মামলা দেয়ার পর এবার নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দিয়ে হয়রানীর হুমকী দিয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি, কোরক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল আলিম লিটন ও  কথিত বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি, চর চরক গাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন।গত ২৭/০৭/২০১৮ খ্রী:তারিখ রাত ৮:৪৪ মিনিটের  সময় টিআইবি’র সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) বরগুনা কার্যালয়ের এ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার জনাব মোঃ আবুবকর সিদ্দিক সাহেবের মুঠোফোন ০১৭৩০৭২৬৭৩৭ নাম্বারে আমার মুঠোফোন ০১৭২৪২৫০১৬৩ দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যদি আমি ও আমার সহ কর্মি নিয়ামুল হাসান নিয়াজ শিক্ষকদের  বিরুদ্ধে দায়েরৃৃত অভিযোগ বিষয়ে আপোষ না করি তাহলে শিক্ষকরা একের পর এক মিথ্যা  মামলা দিতেই থাকবে। এবার শিক্ষকরা কোন অজ্ঞাত নারীকে বাদী/ ভিকটিম বানিয়ে  নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করবে।আমি ও নিয়ামুল হাসানকে আসামী করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য  শিক্ষক আব্দুল আলিম লিটন ও মোঃ আলমগীর হোসেন সকল শিক্ষকদের নিকট থেকে চাঁদা তুলছেন। এ চাঁদার টাকা দিয়ে মিথ্যা মামলা ও খুনের হুমকী দিয়েছেন।আব্দুল আলিম লিটন আবু বকর সিদ্দিক সাহেবকে আরো জানিয়েছেন, মামলা ছাড়াও শিক্ষকদের ভারা করা লোক দ্বারা আমাদের অবাদে চলাফেরার যে কোন সময়ে যে কোন ধরনের গুরুত্বর  ক্ষতি সাধন করবে। উল্লেখ্য যে,সাংবাদিক আবুল হাসান বেল্লাল ও মোঃ নিয়ামুল হাসান নিয়াজ ২০১৩ সালে জাতীয়করণকৃত বরগুনা সদর উপজেলার ১১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি,ক্ষুদ্র মেরামত এবং শ্লিপ গ্র্যান্টের অর্থ সঠিক খাতে ব্যায় হয়েছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী করার জন্য  তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রয়োগ করে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার দাস,তদকালিন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মজিদ, মোঃ রবিউল আউয়াল, এম,এম মিজানুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান,প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) তরুন কান্তি শিকদার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সংস্থাপন) এ এইচ এম গোলাম কিবরিয়া,বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস,বরিশালের শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা লাইজু, অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ সচিব মুর্শ্বেদা জামান, অগ্রণী ব্যাংক বরগুনা শাখার ম্যানেজার মোঃ শাহজাহানসহ অন্যন্যাদের নিকট তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি ও ক্ষুদ্র মেরামতসহ অন্যন্যা তথ্য পাওয়া যায় তা বিশ্লেষণ করে বরগুনা সদর উপজেলার ১৪ নং পুর্ব গুদিঘাটা নুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,৭১ নং মধ্য সাহেবের হাওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের ১ম শ্রেনী থেকে ৫ম  শ্রেনীর উপবৃত্তির তালিকায় ব্যাপক ভুয়া ছাত্র/ছাত্রীদের নাম অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এবং ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ আত্মসাতের প্রমান পাওয়া যায়।   আবুল হাসান বেল্লাল আরও কিছু তথ্য চেয়ে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তথ্য না পেয়ে আপীল ও তথ্য কমিশনে  ৯৭/১৭,৯৮/১৭,৯৯/১৭ এবং ১০০/২০১৭ নং অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ শুনানীতে প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসেনকে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ লংঘনের জন্য ৫ হাজার টাকা জড়িমানা করে তথ্য কমিশন। এবং ৪টি অভিযোগে উল্লেখিত তথ্য সরবরাহের জন্য সকলকে নির্দেশ দেয়া হয়।  দায়েরকৃত আবুল হাসান বেল্লালের অভিযোগটি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক গত ২৬/০৯/২০২১৬ তারিখ দুদক/অভি:যাচাই-বাছাই /৩৫২২০১৭/২৯১০৭ নং স্বারকে অনুসন্ধানের জন্য গ্রহন করা হয়। অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য দুদক,প্রকা,ঢাকার স্বারক নং দুদক/৬১/২০১৭/(অনুঃ ও তদন্ত-২)/বরগুনা/৩২৬১৫ তাং ৩০/১০/২০১৭, দুদক, বিকা,বরিশালের স্বারক নং ০৪.০১.০৪০০.৭৪১.০১.০১৯.১৭.১২৩ তাং ১১/০২/২০১৮ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর ই/আর নং ২২/২০১৭ মূলে উপ সহকারী পরিচালক মোঃ আরিফ হোসেনকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব  দেয়া হয়। দুদকের এ তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব ভার গ্রহন করে ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সকল,সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সকল, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, অগ্রনী ব্যাংক বরগুনা শাখার ব্যাবস্থাপক ও উপবৃত্তি বিতরনকারী কর্মকর্তা সকলকে দুদকের পটুয়াখালী কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।  অন্যন্যা সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও দুর্নীতির জালে জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে আবুল হাসান বেল্লালকে বিষয়টি নিষ্পত্তির প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু আবুল হাসান বেল্লাল নিষ্পত্তির প্রস্তাব পত্যখ্যান করলে সকল ১১টি বিদ্যালয়ে শিক্ষক,উপজেলা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাগন একত্রিত হয়ে বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি, কোরক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম লিটন(৪৫)কে বাদী বানিয়ে মিথ্যা,ভিত্তিহীন,মনগড়া,কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে  বরগুনা থানার মামলা নং ১১ তা ০৯/০৫/২০১৮, ধারা: ১৪৩,৩৪১,,৩৮৫,৫০৬ দ:বি: জিআর ২৮৬/১৮ দায়ের করান। মামলা দায়ের হওয়ার পর সাংবাদিক আবুল হাসান বেল্লাল ও সহকর্মি টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটি সনাক বরগুনার ইয়েস গ্রুপ সদস্য মোঃ নিয়ামুল হাসানকে   বরগুনা থানা পুলিশ গত ০৫/০৬/২০১৮ তারিখ রাত আনুমানি ১:৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে বরগুনা থানার এস আই মোঃ জুয়েল হাওলাদারের নেতৃতাধীন পুলিশের একটি সংঘ বদ্ধ দল। এরপর বরগুনার বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালত থেকে গত ০৯/০৭/২০১৮ তারিখ জামিনে মুক্তি পায় । জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর   মামলার  বাদী,স্বাক্ষী,তাদের দলিয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা টিআইবির বরগুনা সনাকের এ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার জনাব মোঃ আবু বকর সিদ্দিক সাহেবকে বারবার মুঠোফোনে জানাচ্ছেন যে, আবুল হাসান বেল্লাল ও নিয়ামুল হাসান নিয়াজ পত্রিকায় প্রকাশিত দুর্নীতির প্রতিবেদন বিষয়ে যদি প্রতিবাদ না দেয় ,সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে যদি তুলে না আনে। তবে শিক্ষকদের মধ্য থেকে কেউ বাদী হয়ে,কিংবা তাদের দলিয় যে কাউকে বাদী বানিয়ে, কিংবা সনামে -বেনামে গুরুতর অপরাধের একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের ভিতর রেখে পচিয়ে গলিয়ে মারবেন। পথে ঘাটে যেখানে যে অবস্থায় বেল্লাল ও তার সহকর্মি মোঃ নিয়ামুল হাসান নিয়াজকে যেখানে যে অবস্থায় পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিপক্ষের দলিয় সন্ত্রাসী ও কিলার বাহিনী দ্বারা খুন খারাপি কিংবা যে কোন ধরনের গুরুত্বর ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকী,ধুমকী এবং ভয়ভীতি দেখাইতেছেন। গত ২৪/০৭/২০১৮ তারিখ www.crimepatrolbd.com নিউজ পোর্টালে “সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ময়লার ঝুরিতে জাতীয় পতাকা অবমাননা করলেন প্রধান শিক্ষক” শিরোনামে আমার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিহিংসায় বরগুনা সদর উপজেলার ৭১ নং মধ্য সাহেবের হাওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলী আক্তার পপি, তার স্বামী মোঃ আসলাম হোসেন প্রধান শিক্ষক( ভারপ্রাপ্ত) পাতাকাটা দরবার শরিফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। মোঃ আব্দুল আলিম লিটন,প্রধান শিক্ষক, কোরক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সভাপতি শিক্ষক সমিতি,বরগুনা সদর উপজেলা।মোঃ জাকির হোসেন প্রধান শিক্ষক,দক্ষিন মনসাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।মোঃ আব্দুল আজিজ ফরাজী, প্রধান শিক্ষক মধ্য কুমড়া খালী কেসাতঘর পল্লীমঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিকাশ রায়,প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) চালতাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মোসাঃ রাশিদা আক্তার প্রধান শিক্ষক, ছোট লবনগোলা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।মোসাঃ নিগাত সুলতানা প্রধান শিক্ষক,(ভারপ্রাপ্ত)২৮ নং উত্তর কুমড়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন উপবৃত্তি এবং স্লিপ গ্র্যান্টের অর্থ আত্মসাতের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ২৪/০৭/২০১৮ তারিখ বরগুনার বিজ্ঞ  চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে.চর চরক গাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কথিত বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন(৪৫)কে বাদী বানিয়ে গত ২১/০৭/২০২৮ খ্রী তারিখ সিআর -৫৩০/১৮ নং মামলা দায়ের করান। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন গত ২১/০৭/২০১৮ খ্রী তারিখ রোজ শনিবার বিকাল ৫:৩০ মিনিটের সময় বরগুনা টাউন হল ব্রীজের উত্তর পাড় কুয়েত প্রবাসী হাসপাতালের সামনে মহাসড়কের পশ্চিম পাশে গলির মধ্যে আমি ও আমার সহকর্মি নিয়ামুল হাসান নিয়াজ বাদীর মানিত স্বাক্ষী ১।মোঃ ইদ্রিসুর রহমান পিতা মৃত: সোনামদ্দিন সাং ডিকেপি রোড, বরগুনা পৌরসভা, বরগুনা। ২। সুভাষ চন্দ্ররায় পিতা মৃত: সুধির চন্দ্র রায়, সাং চরক গাছিয়া ৬ নং ইউপি। ৩।মোঃ জুলফিকার আলী পিতা মৃত:আঃ কাদের সাং কলেজ রোড,বরগুনা পৌরসভা। ৪। মোঃ জাহাঙ্গীর কবির পিতা মৃত:আজাহার উদ্দিন সাং ফুল ঢলুয়া, ৭নং ইউপি। ৫। মোঃ গোলাম কবির পিতা মৃত: আঃ রশিদ সাং পাঠাকাটা,৮ নং ইউপি সর্ব থানা ও জেলা বরগুনাদের মোকাবেলা ১০০০০০ এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা  হয়েছে মর্মে বর্ননা দেয়া হয়। মামলার সাথে পূর্বের মামলার বাদী বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল আলিম লিটনের দায়েরকৃত বরগুনা থানার মামলা নং ১১ তারিখ ০৯/০৫/২০১৮ জিআর নং২৮৬/১৮ এর একটি ফটোকপি বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। ইহাতে প্রতিয়মান হয় যে সকল শিক্ষকরা সম্মিল্লিত ভাবে সাংবাদিক আবুল হাসান বেল্লাল এবং তার সহকর্মি মোঃ নিয়ামুল হাসান নিয়াজকে জব্দ করার জন্য  শিক্ষক,শিক্ষা কর্তৃপক্ষ এবং অগ্রণী  ব্যাংক বরগুনা শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সরকারী টাকা আত্মসাতের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচতে পূর্বের  হুমকী অনুযায়ী মিথ্যা,ভিত্তিহীন,মনগড়া,কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে আবুল হাসান বেল্লাল ও তার সহকর্মি নিয়ামুল হাসান নিয়াজকে আসামী করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বিজ্ঞ  আদালত তদন্ত করে সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল বরগুনার উপর তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। আবুল হাসান বেল্লাল বলেন যতক্ষন না আমরা শিক্ষকদের সাথে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন, শিক্ষা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে তুলে না আনবো, সংবাদ পত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না দিচ্ছি এবং তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর মাধ্যমে কোন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি, ক্ষুদ্র মেরামত এবং স্লিপ গ্র্যান্টের অর্থ সঠিক ক্ষাতে ব্যয় করা হয়েছে কিনা সে সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্র চেয়ে ভবিষ্যতে আর কোন আবেদন করবো না মর্মে লিখিত অঙ্গিকার না দেবো ততক্ষন পর্যন্ত একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের মধ্যে রেখে পচিয়ে গলিয়ে মারবে, অবাদে চলাফেরার সময় যেখানে পাবে সেখানে কোপাবে। জীবনের তরে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন এবং অভিযোগ করার সাধ মিটিয়ে দিবে বলে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন ব্যক্তিদের মাধ্যমে হুমকী দিতেছে।
বিষয়টি আমি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবগত করেছি। ইতিমধ্যে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন ২০১১ এর ধারা ৩ এর উপ ধারা (২)'(৩)  এর আওতায় প্রতিপক্ষদের নিকট থেকে সুরক্ষা পাবার আবেদন করা হয়ছে। বর্তমানে  প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর যেভাবে ক্ষেপেছে তাতে যেকোনো সময় পুলিশের সহযোগিতায় সনামে,বেনামে  মিথ্যা মামলা, হামলা কিংবা গুরুত্বর ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মামলা দায়েরের বিষয়ে জানতে মামলার বাদী মোঃ আলমগীর হোসেন ও আব্দুল আলিমের এর সাথে যোগাযোগের যথেষ্ট চেষ্টা করা হলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে সাংবাদিক আবুল হাসান বেল্লাল ও নিয়ামুল হাসান নিয়াজ এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাব,ঢাকা প্রেস ক্লাব,দক্ষিন অঞ্চল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংবাদিকবৃন্দসহ সচেতন নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশ, অধিকার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে তীব্র নিন্দা,প্রতিবাদ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানব বন্ধন কর্মসুচি ও দফায় দফায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সাংবাদিক আবুল হাসান বেল্লাল ও নিয়ামুল হাসান নিয়াজের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শিঘ্রই দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি  উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট স্বারকলিপী প্রদানের সিধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 + 8 =