রাজধানীর উত্তরায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় রবিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা জমায়েত হতে শুরু করে। হাউজ বিল্ডিং ও এর আশপাশের শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করছে। রাস্তাঘাটে যানবাহনের উপস্থিতি একেবারে কম।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মীমকে হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করে সড়কে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অবস্থানের কারণে এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রায় অচল রয়েছে। এরইমধ্যে হাজার হাজার শিশু, কিশোর ও তরুণ সড়কে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে নির্দেশনাদান অব্যাহত রেখেছে। দিনভর চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই, আলাদা লেনে চলাসহ সব বিশৃঙ্খলা ঠিক করতে দেখা যায় তাদের। বিভিন্ন স্থানে তারা পুলিশকে সহায়তা করে। গতকালও সকাল সকাল থেকেই উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় জড়ো হয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রথমে পুলিশ তাদের রাস্তায় নামতে দেয়নি। পরে সকাল ১১টার দিকে তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা আগের মতোই লাইসেন্স যাচাই শুরু করে। আলাদা লেনেও গাড়ি চলতে বাধ্য করা হয়। মহিদুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমরা শৃঙ্খলা শেখানোর মাধ্যমেই দাবি আদায়ের চেষ্টা করছি।’ একই দৃশ্য আজও চোখে পড়ছে। তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর না পাওয়া গেলেও মাঝে মধ্যেই শিক্ষার্থীদের দৌঁড়াদৌঁড়ির দৃশ্য চোখে পড়ছে।