রাজু নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেয়র

0
603

সিলেট নগরীর কুমারপাড়ায় শনিবার রাতে ছাত্রদলের এক পক্ষের গুলিতে ফয়জুর রহমান রাজু নামে সাবেক এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত রাজু সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তিনি নগরীর উপশহর ‘এ’ ব্লকের ৯ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাসার বাসিন্দা ফজর আলীর পুত্র বলে জানা গেছে। আরিফের বিজয় মিছিল শেষে তার বাসা থেকে ফেরার পথে কুমারপাড়া রাস্তায় হামলার ঘটনা ঘটে।

এতে রাজুর সাথে থাকা আরো দুই ছাত্রদল নেতা আহত হয়েছেন। তাদের একজনের নাম উজ্জল। একটি সূত্রে জানা যায়, সিসিকের মেয়র হিসেবে আরিফুল হক চৌধুরী পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শনিবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ আরিফের গাড়ির বহরের সাথে মোটর সাইকেলযোগে নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় তার বাসায় যান ছাত্রদল কর্মী উজ্জ্বল, রাজুসহ তিনজন। আরিফুল হককে বাসায় পৌছে দিয়ে তিনজন একই মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন। গলির ভেতর থেকে কুমারপাড়া পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় আসা মাত্র শাহী ঈদগাহর দিক থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে কিছু যুবক এসে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা স্টাম্প, দাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। তখন এক যুবক সেখানে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় উল্লিখিত ৩ জন আহত হন। তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে রাজুর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে অন্য একটি সূত্র জানায়, মেয়র পদে বিজয়ী আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরুনোর পর বিজয় মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি কুমারপাড়া গিয়ে পৌঁছুলে নিজ বাসভবনে চলে যান আরিফুল হক চৌধুরী। এরপর কমিটি নিয়ে বাকবিতন্ডার জের ধরে আরিফের বাসার সামনের সড়কে হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

খুনিদের গ্রেফতার দাবি মেয়র আরিফের

বিজয় মিছিল শেষে ফেরার সময় হামলায় সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক ফয়জুল হক রাজু নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের পুনঃনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি হামলাকারী খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন । আরিফ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে বাসায় ফেরার পথে তার গাড়িবহরের সাথে মোটরসাইকেলে ছিল রাজু। বাসায় পৌছে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহজাহানের সাথে দেখা করতে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর তার বাসা থেকে বের হয় রাজু। বাসা থেকে বরে হয়ে গলির মুখে আসামাত্র তার উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনা শুনে ওসমানী মেডিকেলে ছুটে যান আরিফ। সেখানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, হামলাকারীরা সন্ত্রাসী। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। একই সাথে এদের যদি কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 + 20 =