জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ৮০ বছর বয়সে পরলোক গমন করেছেন। সামান্য অসুস্থ হয়ে পড়ার পর গতকাল শনিবার তিনি মারা যান বলে তার নামের ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিক সূত্রে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। ঘানায় জন্ম নেয়া কফি আনান যে শহরে বেশ কয়েক বছর ধরে বসবাস করছিলেন সেই সুইৎজারল্যান্ডের জেনিভায় তিনি মারা যান। তিনি ছিলেন জাতিসংঘের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহাসচিব যিনি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতিসংঘকে নতুনভাবে গড়ে তোলা এবং মানবিক কর্মকান্ডে ভূমিকার রাখার জন্য তিনি ২০০১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। তবে ইরাকে মার্কিন অভিযানের সময় বিপক্ষে অবস্থান নেয় সংস্থাটি। ওই অভিযানকে কফি আনান ‹অবৈধ› অভিযান বলে বর্ণনা করেছিলেন । কফি আনানের ভাষায় তার সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল ‹সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা› নির্ধারণ’- দারিদ্র আর শিশু মৃত্যু কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রথম এ ধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তীতে সিরিয়া সংকট মেটাতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এক বিবৃতিতে কফি আনান ফাউন্ডেশন জানায়, ‘কফি আনান ছিলেন সারা বিশ্বের। জীবনভর তিনি শান্তির জন্য কাজ করে গেছেন।’ এতে আরও বলা হয়, ‘যেখানেই সমস্যার খোঁজ পেতেন সেখানেই পৌঁছে যেতেন তিনি। গভীর সমবেদনায় জয় করেছেন হাজারো মানুষের জীবন। অকৃত্রিম ভালবাসা নিয়ে কাজ করে গেছেন অন্যের জন্য।’ জড়িত ছিলেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যার সমধান প্রক্রিয়ায়। এদিকে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আানানের মৃত্যুতে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তারা বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় পরলোগত কফি আনানের অবদান বিশ্ববাসী চিরকাল কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।