বিশ্বের সৎ নেতার তালিকা শেখ হাসিনা তৃতীয়

0
3223

প্যারাডাইস পেপার্স আর পানামা পেপার্সের পর এবার পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস, বিশ্বের পাঁচ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছে, যাদের কোনো দুর্নীতি স্পর্শ করেনি। এদের বিদেশে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই, উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বছরের ২২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সৎ সরকারপ্রধান হিসেবে সারা বিশ্বের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় স্থান অধিকার করায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চান।
পিপলস অ্যান্ড পলিটিকসের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। খবরে বলা হয়, বিশ্ব রাজনীতিতে যাদের সৎ ভাবা হতো, যাদের অনুকরণীয় মনে করা হতো তাদের অনেকেই কলঙ্কিত হয়েছেন পানামা পেপার্স এবং প্যারাডাইস পেপার্সে। তবে বিপরীতধর্মী প্রতিবেদন ৫টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নেতৃত্বের সততার মান বিচার হয়েছে। প্রথম প্রশ্ন ছিল, সরকার/রাষ্ট্রপ্রধান তিনি কি তার রাষ্ট্রের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করেছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর তার ব্যক্তিগত সম্পদ কতটুকু বেড়েছে। তৃতীয় প্রশ্ন ছিল, গোপন সম্পদ গড়েছেন কি না। চতুর্থ প্রশ্ন সরকার/রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ আছে কি না। আর পঞ্চম প্রশ্ন ছিল, দেশের জনগণ তার সম্পর্কে কী ভাবেন?

এই ৫টি উত্তর নিয়ে পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস ১৭৩ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের কর্মকা- বিশ্লেষণ করেছে। এই গবেষণায় সংস্থাটি এ রকম মাত্র ১৭ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছেন যারা ৫০ শতাংশ দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৭৩ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সৎ সরকারপ্রধান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল। ৫টি প্রশ্নে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯০।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং ৮৮ পেয়ে সৎ সরকারপ্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন আর ৮৭ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮৫ নম্বর পেয়ে বিশ্বে চতুর্থ সৎ সরকারপ্রধান বিবেচিত হয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলবার্গ। আর ৮১ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
পিপলস অ্যান্ড পলিটিকসের গবেষণায় দেখা গেছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সংস্থাটি গবেষণায় দেখেছে, বেতন ছাড়া শেখ হাসিনার সম্পদের স্থিতিতে কোনো সংযুক্তি নেই। শেখ হাসিনার কোনো গোপন সম্পদ নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ৭৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন সৎ এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসার ঊর্ধ্বে। তবে, তার সরকারের বিরুদ্ধে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদেন উল্লেখ করা হয়েছে।
বরুন চৌধুরী

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen + nine =