নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা আকারে ছোট হবে এবং টেকনোক্র্যাট কেউ থাকবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতের যে কোনো সময়ে চেয়ে ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃংখল দল।
বিএনপি পল্টনে যা করতে পারেনি, তা আমার উত্তরবঙ্গের ১৮ জনসভায় হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর (দলীয় সভানেত্রী) সঙ্গে আলাপ করেছি। আগামী নির্বাচনে শরিকদের জন্য ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছাড় দেয়া হবে। নির্বাচনের জন্য অক্টোবরেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন শুরু হবে। শরিকদের জন্য ছাড়া হবে ৬৫ থেকে ৭০ আসন। জাতীয় পার্টি থাকবে কিনা দলটির সাথে আলোচনা হচ্ছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। দলের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা বিগত সিটি নির্বাচনে দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো তাদের কড়া ভাষায় শোকজ করা হয়েছে। এমনকি সিলেটে পরাজিত প্রার্থীকেও ভোটে পরাজয়সহ অন্যান্য কারণে চিঠিও দেয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। কোন কোন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের জনগণের কাছে যাবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার দরকার চিকিৎসার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলটি এটাকে ইস্যু বানিয়ে রাজনীতি করছে। স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি চলছে। মির্জা ফখরুলের আন্দোলনের ঘোষণার জবাব ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন আষাঢ়ে তর্জন গর্জন। পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়। ১০ বছরে কিছু করতে পারেনি, আগামী ২ মাসে কী আন্দোলন করবেন উনারা? ঘরে ঐক্য নেই। নিজেদের মধ্যে অবিশ্বাস, সন্দেহ। তারা দেশের ঐক্য কিভাবে করবে? সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে ঐক্য করবে? প্রশ্ন রাখেন কাদের।