হাবিব সরকার স্বাধীন: ঢাকার রাজধানীর বনানী ১৯ নং ওয়ার্ড এলাকার কড়াইল বস্তির স্বঘোষিত গ্যাস,বিদ্যুৎ চুরির মহারাজা মনজিল হক ওরফে মঞ্জুল হক ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত অপরাধী যেই হোকনা কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তাই সে এবার তার লেবাসের কিছুটা পরিবর্তন করে প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে স্থানীয় জনমনে ব্যাপক চমক সৃষ্টি হয়েছে। কখনো প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার কখনো প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তাকে বেতন বন্ধি করে কড়াইল বস্তিসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কেড্যার বাহিনী দিয়ে তার অবৈধ রমরমা ব্যবসা করে চলছে। বলে অভিযোগ উঠেছে,সরজমিনে তদন্ত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মনজিলের একাদিক অপরাধ কর্মের মধ্যে মাদক ব্যবসার রুপরেখা নিয়েছে। তার সাথে যোগাযোগ করলে বলে আমি পুলিশকে টাকা দিয়ে কাজ করি। ভাই সাংবাদিক চিনি না। আমার লিখলে লিখতে পারেন অথবা পুলিশের সাথে কথা বলতে বলে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কড়াইল বস্তির স্বঘোষিত মহারাজা মনজিল হক। ভাঙ্গারী ব্যবসা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করে ৩ শ টাকা রোজগার করতে তার সময় লাগতো ২ দিন।সে আজ এলাকার মুঞ্জু ভাই হিসাবে আলোকিত নাম। তবে তিনি যেই আলাদিনের প্রদীপের জোড়ে কোটিপতি হয়েছে তার মধ্যে সরকারী গ্যাস,বিদুৎ, পানি,কারবারি কড়াইল বস্তি সহ আশে পাশে সবই এলাকা একেক জন নিয়ন্ত্রণ করে। জামির মেনেজার মুঞ্জুর খুব কাছের মানুষ মনজিল খুব ঠান্ডা মাথার সময়ই ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে। কারন সে মোটা টাকায় বিভিন্ন সেক্টরকে ম্যানেজ করেই অপকর্মের ব্যবসা পরিচালনা করে। প্রশাসনের চাপ বেড়ে গেলে মনজিল হক তাবলীগ জামাতে চলে যায়। বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়। সুত্র জানায়, সন্তাসী কাসেম ওরফে বাবা কাসেম, কড়াইলের ইয়াবা ব্যবসায় মনজিলের অন্যতম সহযোগি। কাসেমের নিয়ন্ত্রনে বউবাজার বস্তির মধ্যে ইয়াবা ব্যবসা করে হারুন মিয়া, তার শ্যালক গুড্ডু ও সজীব। কাসেমের ঘনিষ্ঠ পার্টনার মোস্তফা। এরা দুজনে মনজিলের টাকায় টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান বনানীতে নিয়ে আসে। রাস্তায় কোন ঝামেলা হলে মনজিলই তা নগদ টাকার বিনিময়ে সমাধান করে। অথবা কেউ গ্রেপ্তার হলে টাকা খরচ করে মনজিলই তাকে জামিনে বের করে আনে। এতে মনজিলের প্রতি তার সিন্ডিকেটের লোকজনের বিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। মাছ বাজারের ওসমানের ছেলে আফাজ ও আসেক, ঝিলপাড়ের চিরতার ছেলে ইব্রাহিম, সাইদুল ইসলাম ক ব্লকের জসিম ও তার বোন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদকসেবিরোধী অভিযান ঘোষণার পর থেকেই সারাদেশে র্যাব-পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিশেস অভিযান শুরু করে। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র্যাব-পুলিশের ‘বন্দুযুদ্ধে’ নিহতের বহু ঘটনাও ঘটছে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য মাদক এই নিয়ে স্থানীয় জনসাধারনের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। প্রশাসনের প্রতি তাদের দাবী খুব দ্রুত মনজিল সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনা নাহলে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।