আওয়ামী লীগ জঙ্গী উৎপাদন করেছে, আর বিএনপি তাদেরকে দমন করেছে : রিজভী

0
517

আওয়ামী লীগ জঙ্গী উৎপাদন করেছে, আর বিএনপি তাদেরকে দমন করেছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২১ আগস্ট বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ বা তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরাই দায়ী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গেম প্ল্যান খুব স্পষ্ট।

আইন, আদালত, বিচার তাদের হাতে মুঠোয় থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় একের পর এক সাজা দিয়ে ফাঁকা ময়দানে ইলেকশনের নামে সিলেকশন করে ক্ষমতা ধরে রাখা। এরা গণতন্ত্রের শক্তি শুষে নিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর নজরদারীর শক্তি বৃদ্ধি করেছে। আজ রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব বলেন। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। রিজভী বলেন, সব বিচার-বিশ্লেষণে এটা মনে করার যথেষ্ট কারণ সৃষ্টি হয় যে, ২১ আগস্ট বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ বা তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরাই দায়ী। যেহেতু তখন সরকার পরিচালনা করেছে বিএনপি সেহেতু নিজের সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে, এমন আত্মবিধ্বংসী কাজ বিএনপি কেনো করতে যাবে? তিনি বলেন, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ক্ষমতাসীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার এমন হঠকারী কাজ করে নিজেদের পাকা ধানে মই দেয়ার মতো নির্বোধ কাজ করবে, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তিনি আরো বলেন, জঙ্গী উৎপাদন করেছে আওয়ামী লীগ, আর তাদেরকে দমন করেছে বিএনপি। রিজভী বলেন, ২০০৯ সালে বিডিআর সদর দফতরের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড আওয়ামী সরকারের আমলেই ঘটেছে। এর জন্য কেনো আওয়ামী সরকার দায়ী নয়? দরবার হলের এধরনের অনুষ্ঠানে সবসময় প্রধান অতিথি থাকেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কেন সেদিন যাননি? আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতারা যথাক্রমে সাহারা খাতুন, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম প্রকাশ্যে সদর দফতরে ঢুকে ঘাতক বিডিআর সদস্যদের সাথে দেন-দরবার করেছেন। সদর দফতরের বাইরে হত্যাকারী ঘাতকদের নেতা ডিএডি তৌহিদসহ তার সঙ্গীদের সাথে প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবনে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনে গোয়েবলসীয় কায়দায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সারাদিন অপপ্রচারে ব্যস্ত থাকলেও সত্যকে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে পারবে না। অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর মনে নিত্য ত্রাস আর আশঙ্কার মেঘের আনাগোনা। তাই নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় ওবায়দুল কাদের অনবরত মিথ্যা ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। তার বক্তব্যের বৈশিষ্ট্য ক্রোধপরায়ণতা ও কলহপ্রিয়তা। বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম নয়নকে গত তিন আগে হাইকোর্ট এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ গ্রেফতার করলেও এখনো পর্যন্ত নয়ন কোথায় আছে তা স্বীকার করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমি আবারো অবিলম্বে রবিউল ইসলাম নয়নকে জনসম্মুখে হাজির করার জোর দাবি জানাচ্ছি। ঢাকাসহ সারাদেশে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের মিছিল চলাকালে ধামরাই থানার পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে জহির, খোকন, শাকিব, নাজিরসহ সাতজনের অধিক ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিল্লাল কোম্পানীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃত, অসুস্থ, বিদেশে অবস্থানরত ও হজ্বে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্তৃক গায়েবি মামলায় আসামির তালিকা তুলে ধরেন রিজভী।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × five =