মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশই খাসোগিকে হত্যা করা হয়

5
706

সৌদি যুবরাজ (মোহাম্মদ বিন সালমানের) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো চালাতেন তিনি। সৌদি আরবের অভিজাত ও ধনী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পেছন থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। লেবাননের একজন প্রধানমন্ত্রীকেও (সাদ হারিরি) আটক করেন তিনি।

আবার সেই তিনিই স্কাইপেতে বসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সৌদি আরবের দুজন উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স এ সংবাদটি প্রকাশ করেছে। স্কাইপিতে খাসোগিতে হত্যার নির্দেশদাতা ব্যক্তি হলেন সৌদি আরবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সৌদ আল-কাহতানি, যাকে এরই মধ্যে খাসোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে, তিনিই খাসোগি হত্যাকাণ্ডে স্কাইপেতে এই নির্দেশনা দেন বলে গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে। কাহতানি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিশেষ ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে নিয়োজিত ১৫ জনের সৌদি দলের চারজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় মোট ১৮ জন সৌদি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবরে জানিয়েছে সৌদি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। কাহতানিকে খাসোগি হত্যাকাণ্ডের হোতা প্রমাণ করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে। কিন্তু গত তিন বছরে কাহতানির উত্থান ও যুবরাজের সঙ্গে সখ্যর বিষয়টি লুকানো সম্ভব হচ্ছে না, ফলে এ হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতাও ঢাকা সম্ভব হচ্ছে না। কাহতানি এর আগে অবশ্য বলেছিলেন, তিনি তার বসের (মোহাম্মদ বিন সালমান) অনুমতির বাইরে কিছুই করেন না। কিছুদিন টুইট বার্তায় তিনি বলেন, বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আজ্ঞার বাইরে তিনি আসলে কিছুই করেন না। বরখাস্তের রয়টার্স কাহতানির বক্তব্য জানতে চায় কিন্তু তিনি কোন সাড়া দেননি। তবে তার টুইটারে অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত তথ্যে পদবির জায়গায় গত দু-তিন দিন আগে রাজতন্ত্রের উপদেষ্টা পদ সরিয়ে দিয়ে নিজেকে ‘সৌদি ফেডারেশন অব সাইবার সিকিউরিটি, প্রোগ্রামিং অ্যান্ড ড্রোনস‌’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করে রেখেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × three =