৪০ মণ ভেজাল ঘি সহ ছয়জন আটক

0
655

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভেজাল ঘি’র কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই ভেজাল ঘি কারখানায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাছুদুর রহমান অভিযান চালান।

ওই সময় প্রায় ৪০ মণ ভেজাল ঘিসহ হাতেনাতে ছয়জনকে আটক করেন। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মূল হোতা ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগরের সুলতান শাহের ছেলে শহিদুল পালিয়ে যায়। অভিযানে সহযোগিতা করেছেন ভাঙ্গুড়া থানার এসআই সাজেদুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স। পৌর সদরের সরদার পাড়ার শাহ আলমের বাড়িতে এমন ধরণের কাজ হচ্ছে। পাম ওয়েল ও বাটার ওয়েল একত্রে চুলায় জাল দিয়ে মেশানো হচ্ছে ঘিয়ের ফ্ল্যাভার। এখানে নেই কোনো দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য। এভাবেই লোক চক্ষুকে ফাঁকি দিয়ে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হচ্ছিল ভেজাল ঘি। পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর মহল্লার সুলতান শাহের ছেলে শহিদুল ইসলাম তার শ^শুর শামছুল ও বাড়ি মালিকের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে এভাবেই ভেজাল ঘি তৈরি করে আসছিল। যা স্থানীয় হাট-বাজার ও পাবনা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হতো। ওই বাড়ির প্রধান ফটক থাকতো বন্ধ। অপরিচিতি লোকদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হতো না। এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী। আটকৃতরা হলেন, পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর থানার বাসিন্দা মিলন (৩৮), বিস্ট আলী (৬০), কামরুল (৩৮), জীবন ঘোষ (৩০), শহিদুল ইসলাম (৪০) ও ভাঙ্গুড়া পৌর সরদার পাড়া মহল্লার রজব আলী (৬০)। এসময় ভেজাল ঘিয়ের পাশাপাশি ৫ ব্যারেল ভেজাল পাম ওয়েল, ৩৭ কার্টন ভেজাল বাটার ওয়েল, ৪ বস্তা ঘিয়ের ফ্ল্যাভার ও ভেজাল ঘি তৈরির সরঞ্জামাদী জব্দ করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেগুলো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জনসমক্ষে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অভিযানকালে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মো: মাছুদুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ আদালত আটককৃত ছয়জনকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯-এর ৪৩ ধারায় এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপশি শহিদুল ইসলাম ও তার শ্বশুর শামছুল আলমের বিরুদ্ধে পুলিশকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × 4 =