আমির হামজা -ধামরাই (ঢাকা) ঃ আগামী ১৪ অক্টোবর রবিবার মহা পঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয়া উৎসব। এবার ধামরাই উপজেলার একটি পৌর সভা ও ১৬ টি ইউপির বিভিন্ন স্থানে ১৯৪ টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে শারদীয়া উৎসবের আয়োজনে শিল্পী -পূজারীরা প্রতিমা গড়ার কাজে এখন মহা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বাঁশ দিয়ে অবকামো তৈরী,প্রতিমা শিল্পীরা তাদের সহ কর্মীদের দিয়ে মাটি নরম ও তৈরী করার পর প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি ও মূর্তি গড়ার কাজ ও প্রায় শেষ পর্যায়ে এনেছেন। দ্রুতই শুরু হবে রং তুলির কাজ। দু-একটি প্রতিমা রং তুলির কাজ হয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবরের আগে সকল প্রকার সাজ-সজ্জার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানালেন আয়োজক পূজারী বৃন্দ। ধামরাইয়ে ৪ শত বছর ধরে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাহেয় পাড়ার ঐতিহ্যবাহী রায় বাড়িতে।
প্রতিবছরের মত জাকজমক পূন্য ভাবে পূজার আয়োজন করেছেন বলে জানান রায় বাড়ির সদস্য এডভোকেট শ্যামল রায় মৌলিক। সার্বজনীন এই উৎসব সকলের সার্বিক সহযোগিতায় অনূষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিশ্বকর্মা পুজারীদের অন্যতম নেতা ও শিল্পী সুকান্ত বণিক বলেন, শিল্পীরা সুক্ষ সুক্ষ কাজগুলি করছে। পুজা কে কেন্দ্র করে ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে । ঢাকার পাশেই ধামরাই একটি ঐতিহ্যবাহী অতি প্রাচীন জনপদ। এখানে প্রায়ই বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমনে আসেন। অথচ এখানকার প্রধান সড়কটিই দিনে দিনে দখল হয়ে ক্ষিনকায় রূপ নিচ্ছে। রাস্তার উপর বসে হাঠ। বিদেশী পর্যটক রথ ও বিভিন্ন এলাকা ঘুরছেন। মাধব মন্দির ও ধামরাই উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক পুজারী নন্দ গোপাল সেন বলেন ১৪ অক্টোবর মহা পঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয়া উৎসব। বাংলাদেশের উপজেলা গুলির মধ্যে ধামরাই উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে এ পূজার আয়োজন সব চেয়ে বেশী। এবার ধামরাইয়ে ১৯৪ টি দূর্গা মন্দিরে শারদীয়া উৎসবে আয়োজন হচ্ছে। প্রশাসন থেকে থেকে সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুজারী নের্তৃবৃন্দদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের উধ্বতন কর্মর্তার মতবিনিময় করেছেন। পৌর এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে ৪৪ টি পূজার আয়োজন রয়েছে। ধামরাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, শারদীয়া দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রশাসনিক প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।