পরিবহন শ্রমিকরদের অবরোধে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

0
399

সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে অফিসগামী যাত্রী ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা।

 

আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’র নামে নৈরাজ্য চালাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। আর এই নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছেন অফিসগামী যাত্রী ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা। কারণ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে কোনো গণপরিবহন না চলাচল করায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর নির্ভর করতে হয় রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের। কিন্তু এখানেও বাধা দিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা গণপরিবহন চালানো বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। এজন্য দিনের শুরুতেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রী ও শিক্ষার্থীদের। এমন পরিস্থিতিতে সকালে বিআরটিসির বিভিন্ন ডিপো থেকে সরকারি বাস বের হলেও পরিবহন শ্রমিকদের বাধায় বাসগুলো চালানো যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। বিআরটিসির গাজীপুর ডিপোর ম্যানেজার বুলবুল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “সকালে আমি কিছু বাস বের করেছিলাম। কিন্তু গাজীপুর চৌরাস্তা এবং বোর্ড বাজারে সেগুলো আটকে দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। আমাদের কয়েকজন চালককে পিটিয়েছে। এজন্য এখন বাস চালানো বন্ধ আছে।” এর আগে গতকাল শনিবার শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সংসদ সদস্য ওয়াজিউদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক উছমান আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ‘সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮’ পাস হয়েছে। এ আইনে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষা ও পরিপন্থী উভয় ধারা রয়েছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য না করে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন পাস করা হয়েছে। আইনে সড়ক দুর্ঘটনা মামলায় অপরাধী হয়ে ফাঁসির ঝুঁকি রয়েছে। এমনই অনিশ্চিত ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পেশায় দায়িত্ব পালন করা শ্রমিকদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কোনো আমাদের সামনে খোলা নেই। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ আইনের সংশোধন ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে রবিবার সকাল ৬টা থেকে দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten + 6 =