সুনামগঞ্জে আবারো ১০টন চোরাই কয়লা আটক করেছে বিজিবি

0
545

নিজেস্ব প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে পাচাঁরের সময় আবারো ১০মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু চোরাচালানীদের গ্রেফতার করতে পারেনি এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার পরও কোন ব্যবস্থা ও নেওয়া হয়নি। এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত জেলার তাহিরপর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,বাবুল মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া,আব্দুল আলী ভান্ডারী ও অস্ত্র মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুলের নেতৃত্বে গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় ভারত থেকে ৫০ মে.টন কয়লা ও বিপুল পরিমান মদ ও ইয়াবা পাচাঁর করা হয়।

পরে পাচাঁরকৃত মালামালের মধ্যে ৫০ মে.টন কয়লা তেলিগাঁও গ্রামের বেনু বাবু ও রন বাবুর বাড়ির মাঝের ফাঁকা জায়গাতে নিয়ে মজুত করা হয়। আর মদ পাচাঁর করে লালঘাট গ্রামের আব্দুল আলী ভান্ডারীর বাড়িতে রাখা হয়। এবং ইয়াবার চালান দুধেরআউটা গ্রামের ইয়াবা সম্্রাজ্ঞী আংগুরী বেগম,তার সহযোগী জিয়াউর রহমান জিয়াসহ লাকমা গ্রামের অস্ত্র মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুলের বাড়িতে নিয়ে খুচড়া ও প্রাইকারী বিক্রি করা হয়। এখবর পেয়ে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার আনিসুল হক দুধেরআউটা গ্রামের গিয়ে কোন মালামাল আটক করেননি এবং তেলিগাঁও গ্রামে মজুত রাখা কয়লার কাছেও যাননি। পরে রাত ৯টায় চোরাচালানী জানু মিয়া,কালাম মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া ও বাবুল মিয়া ১টি স্ট্রিলবডি ইঞ্জিনের নৌকায় ৪০ মে.টন কয়লা বোঝাই করে পাটলাই নদী দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়। এখবর পেয়ে রাত ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার হুমায়ুন অবশিষ্ট ১০ মে.টন চোরাই কয়লা আটক করেন। উপরের উল্লেখিত একাধিক চোরাচালান মামলার আসামীদের নেতৃত্বে বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে লালঘাট গ্রামের চোরাচালানী এহসান মিয়া,খোকন মিয়া,রুবেল মিয়া,রহমত আলী,মানিক মিয়া,এরশাদ মিয়া,কাসেম মিয়া,সুলতান মিয়া,রবি মিয়া,তানজু মিয়া,লাকমা গ্রামের আবুল মিয়া,মোজ্জামিল,বজর উদ্দিন,ইদ্রিস আলী,ইসব আলী,আইনাল মিয়া,ইউনুছ মিয়া,রজব আলী,ইছব আলী,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,হাসান আলী,জহির মিয়া সিন্ডিকেড প্রতিদিন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবাধে কয়লা ও পাথরসহ মদ,গাজা,হেরুইন,ইয়াবা ও অস্ত্র পাচাঁর করছে। আর ভারত থেকে পাচাঁরকৃত ১বস্তা কয়লা থেকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১২০টাকা,১ট্রলি পাথর থেকে ১৫০টাকা,থানার নামে ১বস্তা কয়লা থেকে ৭০টাকা,১ট্রলি পাথর থেকে ১২০টাকা চাঁদা নেওয়াসহ মদ ও ইয়াবা পাচাঁরের জন্য সপ্তাহিক ২০ থেকে ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী লালঘাট গ্রামের কয়লা ও মাদক মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,আব্দুল আলী ভান্ডারী,দুধেরআউটা গ্রামের কয়লা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া,তাজু মিয়া,লাকমা গ্রামের অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুল ও ইদ্রিস আলী। এব্যাপারে বিজিবি ও থানার সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী কালাম মিয়া বলেন,আমাদেরকে ধরা এতো সোজা না,কারণ আমরা যা করছি পুলিশ,বিজিবিকে নিয়েই করছি। এব্যাপারে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার আনিসুল হক বলেন,চোরাই কয়লা অনেক আটক করেছি,সামনে নির্বাচন তাই এসব বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করতে চাই না। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মাহমুদুর রহমান বলেন,বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত কয়লা আটক করা হয়েছে,চোরাচালানীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen − 5 =